ভূমিদস্যু গিয়াসের কাছে জিম্মি অসহায় ‘রানু’: প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২২

ভূমিদস্যু গিয়াসের কাছে জিম্মি অসহায় ‘রানু’: প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরপুরের দারুসালাম থানা এলাকার কুখ্যাত ভূমিদস্যু ও কথিত আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন কর্তৃক বসতভিটা দখলের প্রতিবাদে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেও কোন সুফল পাইনি ভুক্তভোগী মোসাঃ উম্মে সালমা চৌধুরী রানু।

৭০/১ হরিরামপুর, থানা: দারুসালামে পারিবারিক ওয়ারিশ ক্রয় ও রেকর্ড সূত্রে হরিরামপুর মৌজায় দাগ নং ১৬০, ১৬১, ১৬৩ সাড়ে ৮ শতক জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান- ১৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টায় কথিত আওয়ামী লীগ নেতা ও ভূমিদস্যু গিয়াস উদ্দিনসহ ৩০/৩৫ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে আমার বসতবাড়ীতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাংচুর ও দখলের চেষ্টা চালায়।

Manual1 Ad Code

আমি ও আমার স্বামী বাধা দিতে গেলে ভূমিদস্যু গিয়াস উদ্দিনের উপস্থিতিতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। আমরা গুরুতর জখম অবস্থায় সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও জনগণের উপস্থিতি টের পেয়ে কথিত আওয়ামীলীগ নেতা ভূমিদস্যু গিয়াসউদ্দিন তার সন্ত্রাসবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

Manual6 Ad Code

তিনি আরো জানান- ঘটনার পর আমি ও আমার স্বামী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে স্থানীয় দারুসালাম থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে নানান টালবাহানার পর ২৩ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ ডাইরি নেন- যাহার নং-১৩২৬।

থানায় অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কোর্টের সরনাপন্ন হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং তারিখে একটি সি,আর মামলা দায়ের করি- যাহার নং-২৮৫/২২। গিয়াস উদ্দিন নিজেকে দারুসালাম থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিলেও বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পেরেছি সে থানা আওয়ামী লীগের কেউ নয় এবং সে আওয়ামী লীগের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে দারুসালাম এলাকায় দখলদারিত্ব করে আসছে এবং নিজেকে দারুসালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে পরিচয় প্রদান করেন।

জানা যায়, এই গিয়াস উদ্দিন একসময় গাবতলীতে পরিবহন কলার বয়ের কাজ করত ও ফুটপাতে বিরিয়ানীর ব্যবসা করত। তারপর উম্মে সালমা চৌধুরী রানুর চাচা মরহুম মোঃ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বাবুল কে ভুলিয়ে ভালিয়ে ভূমিদস্যু গিয়াস উদ্দিন তাদের বাড়িতে মাসিক ৩ হাজার টাকা বেতনে কেয়ারটেকার হিসেবে চাকুরী নেয়।

হঠাৎ করে গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বাবুলের এর মৃত্যুর পর মিসেস বাবুল কে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে তাদের বিভিন্ন জায়গা জমি বিক্রি করতে থাকে এবং বিক্রিত জমির মূল্য তিন ভাগের এক ভাগ মিসেস বাবুলকে বুঝিয়ে দিয়ে বাকি দুই ভাগ নিজে আত্মসাৎ করতে করতে তিন হাজার টাকা বেতনের কেয়ারটেকার গিয়াস উদ্দিন কিভাবে রাতারাতি কোটি বনে যান, দুদক তদন্ত করলেই থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসবে।

Manual7 Ad Code

কলার বয় গিয়াসের পরিচয় এখন দারুসসালাম থানা আওয়ামীলীগের সাবেক স্ব-ঘোষিত সহ-সভাপতি ও দারুসসালাম প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্হাপনা পরিচালক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন। মিরপুরেই রয়েছে তার একাধিক আলিশান বাড়ি ও ফ্ল্যাট।

যে কিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নাম ভাঙিয়ে দখলদারিত্ব সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং বর্তমানেও নিচ্ছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে প্রোপার্টিজের নামে অনেকের বাড়ি দখল করে নেয়া গিয়াসই আজকের ভূমিদস্যু আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান- আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে গিয়াস তার সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে অনেক নিরীহ ও সহজ সরল মানুষের বাড়ি দখল করে নিয়েছে। থানা-পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকায় এলাকার কেউ গিয়াস বাহিনীর ভয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাইনা।

তারা সাংবাদিকদের বলেন- ফুটপাতের বিরয়ানী দোকানদার রাতারাতি কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন? কিভাবে সে দারুসসালাম প্রোপার্টিজ লিমিটেড খুলে আজ একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক হন? বিএনপির রাজনীতিতে কোন পাদ পদবী না পেয়ে কিভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ডুকে এত বেপরোয়া হয়ে পড়েন? হঠাৎ করে কোটি বনে যাওয়ার রহস্য কি ইত্যাদি, আপনারা তদন্ত করলেই সব জানতে পারবেন।

Manual7 Ad Code

উম্মে সালমা চৌধুরী রানু তার শেষ সম্বল এই বসতবাড়িটি রক্ষার স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..