পাপিয়া দম্পতির দুই সহযোগী ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০

পাপিয়া দম্পতির দুই সহযোগী ফের ৩ দিনের রিমান্ডে

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনের দুই সহযোগীকে ফের তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার বিকালে শুনানি শেষে দুই সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তাইয়্যিবাকে রিমান্ডে পাঠান ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম।

Manual3 Ad Code

এর আগে, গত ১১ মার্চ বিমানবন্দর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন আসামি শামীমা নূর পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ ওই দুই আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।

আদালত ওই দিন পাপিয়া ও তার স্বামীর পাঁচদিন করে তিন মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি দুই আসামি কারাগারে থাকায় আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য রোববার শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।

Manual3 Ad Code

রোববার সাব্বির খন্দকার ও শেখ তাইয়্যিবা নূরকে আদালতে হাজির করার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী মীর মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে দুইজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ ও তার স্বামীসহ চারজনকে আটক করে র‌্যাব-১।

Manual5 Ad Code

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব সদস্যরা ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে পাপিয়া-মফিজুরের বিলাশ বহুল ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক বই, বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করে। এ সময় অবৈধ একটি বিদেশি পিস্তল এবং দুটি ম্যাগাজিনে ২০ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

Manual2 Ad Code

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর থানায় পৃথক তিন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত পাপিয়া দম্পতি ছাড়াও তাদের দুই সঙ্গীকে ১৫ দিনের রিমান্ডে দেন। প্রথম দফা রিমান্ডে পাপিয়া দম্পতি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে ছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর বর্তমানে দুটি মামলা তদন্ত করছে র‌্যাব। বাকি একটি মামলার তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..