পাপিয়ার মাদকসাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে কেএমসির ৩৫ সদস্য!

প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২০

পাপিয়ার মাদকসাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে কেএমসির ৩৫ সদস্য!

Manual7 Ad Code
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামিমা নুর পাপিয়ার নরসিংদীর পৌর এলাকার ভাগজি মহল্লার বাড়ির সামনের সেই টর্চার সেল এখন তালাবদ্ধ। তার পরও দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ সেটি দেখতে আসছে। চাঁদা না পেলে পাপিয়ার কেএমসি বাহিনীর সদস্যরা সাধারণ মানুষকে ধরে এনে এই টর্চার সেলে নির্যাতন চালাত। পাপিয়া ও তাঁর স্বামী সুমন গ্রেপ্তার হলেও কেএমসি বাহিনীর সদস্যদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে সেখানে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।

একইভাবে পাপিয়ার মালিকানাধীন কেএমসি কার ওয়াশ অটো সলিউশনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে এখন আর আগের মতো মানুষের ভিড় নেই। নরসিংদীর দাসপাড়ায় গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। এই এলাকায় পাপিয়া-সুমনের ক্যাডার বাহিনী ‘কেএমসি’ একসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো কেএমসির ৩৫ জন সদস্য আত্মগোপনে থেকে পাপিয়ার মাদকসাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে।

Manual2 Ad Code

কেএমসি বাহিনী সম্পর্কে এলাকায় খোঁজ নিয়ে গতকালও অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এই বাহিনীর সব সদস্যের হাতে ট্যাটু আঁকা। এই বাহিনীর অন্তত ২৯ জনের নামের তালিকা দিয়েছে এলাকাসী। এর মধ্যে রয়েছে—ভাগদী এলাকায় পাপিয়ার বড় ভাই সাব্বির আহমেদ, ছোট ভাই সোহাগ আহমেদ, মেহেদী খন্দকার, মাইনুদ্দীন খন্দকার, জসিম খান (স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করে), মাহমুদুল হাসান ভুবন, বাবু (মুদি দোকানদার), সেলিম, আবির, সাব্বির খন্দকার, সাদেক, আলভী, প্লাবন, মোবারক (চায়ের দোকানদার), মেরাজ, রাসেল ও জুয়েল। দত্তপাড়া এলাকার সানি (ফুচকা দোকানি), ব্রাহ্মন্দী এলাকার মিয়া মো. আজিজ, মিয়া শাকিলা জাহান, রুহি মোসাব্বির, মোস্তফা মুনমুন, আলম মো. জুবায়ের, দাসপাড়া এলাকার সাগর, রেজাউল, অনিক, ফরহাদ, হিমেল ও রাব্বি।

এর মধ্যে অনিককে ছয় মাস আগে কক্সবাজারের টেকনাফে ১২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের অনেকে পাপিয়ার মাদক কারবার দেখভাল করত।

Manual4 Ad Code

জানতে চাইলে নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার বলেন, তাদের অপরাধকর্ম নিয়ে যেসব তথ্য আলোচনায় আসছে সে সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Manual8 Ad Code

নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বলেন, সুমন যখন বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এমন খবরে তাদের নরসিংদী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। এখন তারাই নরসিংদীতে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূঞা বলেন, সুমন-পাপিয়ার মতো সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজদের যেন নরসিংদীতে পুনরায় জন্ম না হয়।

দেশ ছেড়ে পালানোর সময় গত ২২  ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া-সুমন দম্পতি ও তাঁদের দুই সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও  শেখ তৈয়বাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলানগর ও বিমানবন্দর থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..