কথিত ভন্ড পীর ‘মরণ মোল্লার’ আবির্ভাব

প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০

কথিত ভন্ড পীর ‘মরণ মোল্লার’ আবির্ভাব

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত, সফি কাজীর মোড় এলাকায়, শাহ আসেদ চান ফকির (২৮) নামের এক তথাকথিত ভণ্ডপীর আবির্ভাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার বাবার নাম মরণ মোল্লা ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাথা থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত জটা চুলের কথিত’ পীরকে ঘিরে বসে আছে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, চট্টগ্রামসহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত তার মুরিদান, শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা। জানায় ২৮ বছর বয়সী অবিবাহিত কথিত এ পীর স্কুল-কলেজ বা কোন মাদ্রাসার বারান্দা পর্যন্ত যায়নি ।

Manual8 Ad Code

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানায়, অশিক্ষিত আসেদ মোল্লা, পীর সেজে বিভিন্ন মানুষকে তার মুরিদ করছে, ভক্ত বানাচ্ছে। এখানে ধর্মের নামে চলছে নারী-পুরুষের বেলাল্লাপনা। তাকে সেজদা করে ধর্মকে করছে কুলশিত। এলাকার অনেকের দাবি, এ ধরনের ধর্মব্যবসায়ীকে অচিরেই আইনের আওতায় এনে, কঠিন বিচারের মাধ্যমে, পবিত্র ধর্ম ইসলামকে অপবিত্রতার হাত থেকে রক্ষা করা হোক।

Manual8 Ad Code

কথিত পীর শাহ আসেদ চান ফকির ও তার বড় ভাই খোরশেদ আলম বলেন, সাধারণ আর দশজন মানুষের চেয়ে আমার ভাই একটু ভিন্ন ধরনের। ছোট থেকে আমার ভাইয়ের ছিল অসাধারণ গুণ। মুন্সিগঞ্জ দোহার থানায় অবস্থিত নুরালাপুর হযরত শাহ লাল শাহ চিশতী (র:আ:) থেকে খেলাফত প্রাপ্ত। ৮ বছর বয়স থেকে সে দরবারের খেদমতে ছিল। এখানে আমরা ১৮ বছর ধরে দরবার শরীফ দিয়েছি । আমার দাদা দাদী ও বাবাসহ চার পুরুষ ধরে মানুষের খেদমত করে আসছি। প্রতিবছর মাঘ মাসের ৬,৭ ও ৮ তারিখে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত দশ হাজারেরও বেশি লোক নিয়ে ওরস করছি। আমরা কাউকে সেজদা করতে বলি না, কেউ যদি মনের থেকে সেজদা করে তাহলে আমরা কি করতে পারি। এখানের পানি পড়া খেয়ে বিভিন্ন লোক জটিল রোগ থেকে মুক্তি পায়। তার পানি পড়া খেয়ে ১৬ বছর পর এক মহিলার ছেলে সন্তান হয়েছে বলেও জানান, পীরের বড় ভাই খোরশেদ আলম। পুলিশ প্রশাসনসহ এলাকার দিলু সরদার, সিরাজ সরদার, শফি কাজী , স্থানীয় চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি অবগত আছেন। তারা ওরসে নিয়মিত আসেন। তবে কথিত পীরের বড় ভাই অকপটে স্বীকার করেন, আমার ভাই কোন স্কুল কলেজ বা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেনি।

Manual5 Ad Code

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আসেদ তার বাড়িতে ওরস মাহফিল করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ওরস করেছে। তবে এবার ওরসের মধ্যে সেজদার বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারটা অন্যায় করেছে। আমরা আইনিভাবে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Manual2 Ad Code

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ কে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। ধর্মীয় দৃষ্টিতে এটি একটি গর্হিত কাজ। আমি তাৎক্ষণিক একজন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছি, তবে তাকে পাওয়া যায়নি। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়েছে। তাকে খুঁজে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..