সিলেট ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক অনিয়মে জড়িত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নার্সিং সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পেছনে রয়েছে এই সিন্ডিকেটের উস্কানি। অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটটি গড়ে উঠেছে। তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। অধিদপ্তরের একজন পিয়ন এই সিন্ডিকেটের সদস্য, যিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। আরো কয়েক জন সহকারী পরিচালক সিন্ডিকেটের সদস্য। দীর্ঘদন ধরে এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি নার্সিং সেক্টর। বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ)র মহাসচিব মো. জামাল উদ্দিন বাদশা লিখিত আকারে অভিযোগ সিন্ডিকেটের সার্বিক বিষয় গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জমা দেন। এ সময় মন্ত্রী দ্রুত সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নার্সিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বিএনএ-এর পক্ষ থেকে মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সাধারণ নার্সদের অসহায়তার সুযোগে এই সিন্ডিকেট যেকোনো কাজ যেমন বদলি/পদায়ন এমনকি হজ মেডিক্যাল টিমে নাম অন্তর্ভুক্তি স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে করে থাকে। সিন্ডিকেটের সদস্য একজন জুনিয়র নার্সিং কর্মকর্তা হয়েও সিনিয়রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তিনি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে পদায়িত; কিন্তু তার মূল পদ সিনিয়র স্টাফ নার্স (নিজ বেতনে)। প্রশাসন, শিক্ষা, বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম এমনকি বাজেটও তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সাধারণ নার্সিং কর্মকর্তারা অধিদপ্তরের প্রতি চরম ক্ষিপ্ত এবং সাধারণ নার্সদের মধ্যে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে। উক্ত সহকারী পরিচালকসহ তার নেতৃত্বে পরিচালিত সিন্ডিকেটকে অধিদপ্তর থেকে অপসারণে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd