সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের অন্যতম চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করে যাচ্ছে এ হাসপাতালটি।
দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকা এই প্রতিষ্ঠানটি ঝিমিয়ে পড়েছিলো এক সময়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর দালালদের দৌরাত্বে সেবাগ্রহীতাদের কাছে এক ভোগান্তির নামে পরিচয় পেয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু গত বিগত এক বছর ধরে বদলে গেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হালহকিকত।
বেশকয়েক জন সেবাগ্রহীতা প্রতিবেদককে জানান, মেডিকেলের বর্তমান পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডাঃ একে মাহবুবুল হক যোগদানের পর থেকে পাল্টে গেছে এখানকার চিত্র।
জানা যায়, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক যোগদানের পর দীর্ঘ এক যুগ আগে নির্মিত আইসিইউ ও ক্যাজুয়াল ভবনে ১০বেডের পূর্নাঙ্গ আইসিইউ নির্মাণ করে এর একটি আধুনিক রুপ দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত জরুরি বিভাগকে আধুনিকায়ন করে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। লেবার ওটিতেও টাইলস এবং শীতাতপনিয়ন্ত্রণ করে আধুনিক রুপ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগিদের দ্রুত চিকিৎসার সার্থে জরুরি বিভাগের পাশাপাশি নতুন করে ক্যাজুয়ালিটি স্থাপন করা হয়েছে। এন্ডোক্রানোলজি ওয়ার্ডকেও নতুন জায়গায় আরও বড় পরিসরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দৃশ্যমান উন্নয়ন সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
দালালদের দৌরাত্ব কমাতে রোগিদের দর্শনার্থীদের জন্য আলাদা দর্শনার্থী কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে এতে রোগীদের স্বজনদের ভোগান্তি অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে।
হাসপাতালে জেল খানার কয়েদিদের জন্য আলাদা প্রিজন সেল স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমিত নিয়ে ৮০জন আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের উন্নয়নে প্রশাসনিক ব্লকের পিছনের খালি জায়গায় ১০তলা বিল্ডিং নির্মাণসহ হাসপাতালে ২৭নং ওয়ার্ড নামে আরেকটি নতুন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের অফিস ব্লকের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপন সহ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবিকে চিকিৎসা প্রদান করে সুস্থ করা, আতিয়া মহলের ঘটনায় র্যাব, পুলিশ সদস্যসহ আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
এদিকে দীর্ঘ আড়াই বছর পরে অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি হাসপাতালের সার্বিক মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এছাড়া প্রথমবারের মত ইউএনটি ওয়ার্ডে ক্যান্সার আক্রান্ত এক গরীব রোগিকে দীর্ঘ আট ঘন্টা জটিল অপারেশন করে সুস্থ করে তুলা, পাথর কোয়ারির মেশিনের মাধ্যমে কাটা শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হাতকে জোড়া লাগানো। রোগীর হাত থেকে বিচ্ছিন্ন আঙ্গুল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে যা মেডিকেলের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ছাতকের কালারুকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন জানান, বর্তমানে হাসপাতালের চিকিৎসার মান অনেক উন্নত। পরিচালকের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অতিতের সকল সফলতা ব্যার্থতাকে ছাপিয়ে নতুন দিগন্ত রচনা করেছে। চিকিৎসার মানোন্নয়নের ফলে বর্তমানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd