সিলেটের মহাসড়কে পুলিশের নিদিষ্ট টোকেনে চলছে সিএনজি অটোরিকশা

প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮

সিলেটের মহাসড়কে পুলিশের নিদিষ্ট টোকেনে চলছে সিএনজি অটোরিকশা

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেটের মহাসড়কগুলোতে সিএনজি চালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম বেড়েই চলছে। কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে অবাধে চলছে এ বাহনটি। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করেই টিআই ও সার্জেন্টের টোকেন বাণিজ্যের কারণে সিলেট- ঢাকা মহাসড়কের অবাধে চলছে তিন চাকার এ বাহনটি। সিলেট জেলার বিভিন্ন মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের কারণে বাড়ছে বড় বড় দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।

মহসড়কগুলোতে মেট্রোপুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান করলে ও পুলিশের নিদিষ্ট টোকনের মাধ্যমে চলে সিএনজি অটোরিকসা।

Manual7 Ad Code

জানা যায়,মাসে হাজার টাকা চাঁদার বিনিময়ে বিশেষ স্টিকার লাগিয়ে সিলেটের মহাসড়কে চলছে সিএনজি অটোরিক্সা। চালকরা বলছেন, পুলিশকে দেয়ার কথা বলে শ্রমিক সংগঠন তুলছে এই টাকা। মূলত অর্থ লেনদেনের কারণেই সরকারি নির্দেশনার পরও সিলেটের মহাসড়কে বন্ধ করা যাচ্ছেনা তিন চাকার যান। তবে, টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, মহাসড়কে কোনভাবেই চলতে দেয়া হবেনা তিন চাকার যান।

এই সড়কে চলা প্রায় সবগুলো সিএনজি অটো রিক্সার সামনের গ্লাসে বিশেষ স্টিকার লাগানো। পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে এই স্টিকারগুলো কেনা হয়েছে শ্রমিক সংগঠনের কাছ থেকে। এ স্টিকার থাকা মানে মহাসড়কে চলার বৈধতা। চালকরা জানান, অটোরিক্সা শ্রমিক নেতারা পুলিশকে দেয়ার কথা বলে এই টাকা নিচ্ছেন।

‘হাইওয়ে রোডে চলার জন্য টোকেন আছে। এই টোকেন আমরা প্রতিমাসে নিই। ৭০০ টাকা দিই তাদের।’আরেকজনের অভিযোগ, ‘পুলিশের মাসিক চাঁদা এটা। তারা বলে হাইরোডে আমরা দিচ্ছি, প্রতি মাসে ৫০০ করে দিতে হবে।’চালকরা আর জানান, ‘টোকেনের টাকা দেয়া হয় আমাদের চেয়ারম্যান বা মেম্বারের কাছে। এরপর মেম্বার ওদের কাছ থেকে টোকেন এনে আমাদের গাড়িতে দিয়ে দেয়।’

অনুসন্ধানে জানা যায় টোকন বানিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছেন সিলেট ট্রাফিক পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তরা ।

Manual6 Ad Code

মহাসড়কে দায়িত্বে থাকা সার্জেন্ট নাহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং গাড়ি আটক করছেন বলে আমাদের জানান, ট্রাক ও বাস চালকরা জানান, অটোরিক্সা হঠাৎ করে থেমে যাওয়া কিংবা হঠাৎ করে রাস্তার মাঝখানে চলে আসার কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা।যে সিএনজিগুলোর কাগজপত্র ঠিক আছে মহাসড়কে চলাচলের জন্য সেগুলোর কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে পাঁচশ টাকা। আর আর কাগজপত্রে যাদের ঝামেলা আছে তারা মাসে এক হাজার টাকা দিয়ে স্টিকার লাগিয়ে মহাসড়ক ব্যবহার করছে।

উল্লেখ্য দেশের মহাসড়কগুলোতে মারাত্মক হারে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এর প্রতিকার হিসেবে বিগত ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে সকল মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা, অটোটেম্পু ও সকল শ্রেণীর অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করে সরকার। কিন্তু অটোরিকশা চলাচল থামছেই না।

Manual3 Ad Code

নিদিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও এসব বিষয় ট্রাফিক পুলিশের উদ্ধোতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তারা এ সব বিষয়ে কিছু বলতে অপরাগতা পোষন করেন ।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2018
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..