কাকরাইল মসজিদে ফের তাবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ১০:০০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮

কাকরাইল মসজিদে ফের তাবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলীগ-জামায়াতের দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার রাতে হজ শেষে সৌদি আরব থেকে ফিরে সাদপন্থী তাবলীগের মুরব্বিরা কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন।

এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাকরাইল মসজিদের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের অভিযোগ, শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন মুরব্বি ও সাথীরা হজে গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে এশার নামাজের পর তারা কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। এ সময় কাকরাইল মসজিদের ভেতরে ছিলেন সাদবিরোধী পক্ষের মুরব্বি মাওলানা যোবায়ের। কাকরাইল মসজিদের ভেতরের মাদ্রাসার ছাত্ররা ও বহিরাগতরা এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় মাওলানা মনির বিন ইউসুফ ও মোহাম্মদ উল্লাহসহ কয়েকজন আহত হয় বলে দাবি করেছেন সাদ অনুসারিরা।

এ প্রসঙ্গে মাওলানা আব্দুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, ‘রাতে মসজিদের ভেতর থেকে কিছু লোক এসে মুরব্বিদের ওপর হামলা চালায়। তাদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়। হজ শেষে তারা দেশে এসে এ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ও আনিসের নেতৃত্বে আমাদের মুরব্বিদের ওপর এ হামলা হয়। খবর শুনে রাতেই কয়েকশ ভাই কাকরাইল এসে জড়ো হয়। তারা এই হামলার প্রতিবাদ করে রাস্তায় অবস্থায় নেয়। রাতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। দু’পক্ষেকে নিয়ে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া দিলে সবাই সার্কিট হাউজ মসজিদে গিয়ে ইবাদত করে রাত কাটান।

হামলার প্রসঙ্গে সাদবিরোধী পক্ষের ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন উল্টো অভিযোগ করে বলেন যুগান্তরকে বলেন, সাদ অনুসারীরা অবৈধভাবে মসজিদে জায়গা দখল করতে গিয়ে অনেকের ওপর হামলা ও মারধর করেছে। তাদের হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে। তারা ফোন দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে বহিরাগতদের এনে এ হামলা চালায়। পরে মাওলানা ইউসুফ ও আবদুল্লাহ নিজেরাই নিজেদের পোশাক ছিঁড়ে সাংবাদিকদের দেখান।

ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ আরও বলেন, শনিবার রাত ও রোববার সকালে কাকরাইল মসজিদের সামনে এসে রাস্তা বন্ধ করে নানা স্লোগান দিতে থাকে। নিজেরা বসে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ইসলাম ও নন ইসলামের দ্বন্দ্ব। তারপরও পুলিশ সবাইকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।

রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এহসানুল ফেরদৌস যুগান্তরকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছে। এই সমস্যার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের লোকজন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সমস্যা সমাধান করে আগামীতে যাতে আর কোনো দ্বন্দ্ব না হয় তার জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2018
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..