বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ‘সরকারি জায়গা দখল করতে নয়, মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীরে পর্দা (বেড়া) লাগিয়েছি মাত্র। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়ির সীমানা প্রাচীরটি না থাকায় বাড়ির মহিলাদের নানান দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল, তাই প্রাচীরের স্থানে পর্দা লাগানো। তাছাড়া আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদকৃত প্রায় ৩ শত ফুট জায়গাতে নয়, মাত্র ৪০/৫০ ফুট জায়গায় আমরা পর্দা লাগিয়েছি। আর তাতে প্রতিপক্ষের লোকজন হিংস্বা মিটাতে আমাদের বিরুদ্ধে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছি বলে অভিযোগ করেন।’
কথাগুলো সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে ছিদ্দেক আলী মেম্বারের পুত্র দরাছ মিয়া। তিনি আরোও বলেন, পর্দা লাগানো ছাড়া আমরা সেদিন (২৫ জুন) আর কোন অবৈধ স্থাপন নির্মান করিনি। অথচ প্রতিপক্ষের লোকজনের মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নির্দেশে উপজেলা সার্বেয়ার মোঃ আবদুর রাকিব ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের তহসিলদার নির্মল পাল চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের লাগানো সেই পর্দাগুলো উচ্ছেদ করেন, কোন অবৈধ স্থাপনা নয়।
উল্লেখ্য, উপজেলার চানপুর গ্রামস্থ ‘মাটিজোড়া নদী’ সংলগ্ন ভূমিতে দশপাইকা মৌজার ৫৪নং জে.এল এর ১নং খতিয়ানের ১৮৫, ২১৬ ও ২১৮নং দাগের প্রায় ৮৬ শতক সরকারি জায়গার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূমি একই গ্রামের মজম্মিল আলী, আলতাব হোসেন, ছোয়াব আলী, সেলিম আহমদ, সায়েক আলী, রাশিদ আলী ও তজম্মুল আলী প্রাচীর দিয়ে তাদের বাড়ীর সীমানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে ঘর-দোয়ার নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুফতাফিজুর রহমান’র নেতৃত্বে ওই অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
Sharing is caring!