সিলেট ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৫ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১, ২০১৮
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যৌতুকের কারণে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করে ঘরে তালা দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা গৃহবধূকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) সকালে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনীন্দ্র কুমার সিংহ ও বশির বক্সকে নিয়ে সালমার বাপের বাড়ীর লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের মৃত আজিদ মিয়ার মেয়ে সালমা বেগমের সাথে একই উপজেলার ভানুবিল গ্রামের মো. ফজর মিয়ার ছেলে এখলাছ মিয়ার সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় পাত্রকে যৌতুক দেয়া হয়। মেয়ে ভালো থাকার জন্য বিয়ের পরও বিভিন্ন সময় স্বামীর চাহিদামত টাকা দেয়া হতো সালমার পরিবার থেকে। এরপরেও বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে সালমাকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) স্ত্রী সালমা বেগমকে পিতার বাড়ি থেকে একলক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপরই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্দেশে তার উপর নেমে আসে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। নির্যাতন করে ঘরে অজ্ঞান অবস্থায় রেখে তালা দিয়ে রাখা হয় নির্যাতিতা সালমাকে।
স্ত্রীকে নির্যাতনের পর থেকেই স্বামী এলখাছ মিয়া পলাতক রয়েছে। আদমপুর ইউপি সদস্য, মহীন্দ্র কুমার সিংহ ও বশির বক্স ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এলখাছ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় সালমা বেগমের বড় ভাই কামাল মিয়া শুক্রবার বিকেলে কমলগঞ্জ থানায় স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকতাদির হোসেন পিপিএম জানান, তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd