হাসপাতালের এক্সরে রুমে রোগীর মাকে ধর্ষণের চেষ্টা!

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০১৮

হাসপাতালের এক্সরে রুমে রোগীর মাকে ধর্ষণের চেষ্টা!

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক শিশু রোগীর মাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে তিনি হলেন হাসপাতালের নৈশ প্রহরী সোহাগ। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক্সরে রুমে এই ঘটনা ঘটে।

Manual6 Ad Code

অভিযুক্ত সোহাগ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আ. বারেক হাওলাদারের ছেলে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, তার চার বছর বয়সী ছেলে গত ১৫ জুন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হলে তাকে নিয়ে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হন। প্রায়ই তিনি শিশুটির জন্য খাবার আনতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাহিরের দোকানে যান।

Manual2 Ad Code

তার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকানে যাবার সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিঁড়ির গোড়ার এক্সরে রুমের সামনে ওৎ পেতে দাঁড়িয়ে থাকা সোহাগ আকষ্মিক তার হাত ধরে টেনে এক্সরে রুমে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ এবং লাইট নিভিয়ে দেয়। পরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায় সোহাগের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পায়ের আঙ্গুল ফেটে যায় ওই গৃহবধূর। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে সোহাগ পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।

হাসপাতালের আরএমও ডা. আবুল খায়ের মাহামুদ রাসেল জানান, বিষয়টি শুনেছি, তদন্ত করে প্রমাণ পেলে সোহাগের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, হাসপাতালের ভিতরের কক্ষটি সোহাগের নামে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হালদার বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে এর আগে সোহাগকে বদলি করা হয়েছিল। তদন্তে এবারের অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Manual8 Ad Code

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরের একটি কক্ষ টিএইচও ডা. মাহাবুবুর রহমান নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য সোহাগের নামে বরাদ্ধ দিয়েছিলেন। সেখানে মাদকসহ দুইবার সোহাগ প্রশাসনের কাছে হাতেনাতে ধরা খায় এবং শাস্তি হিসেবে বদলি করা হয়েছিলো। কিন্তু সোহাগ আবার এখানে আসলে টিএইচও এক্সরে কক্ষটি তার নামে বরাদ্দ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী সোহাগ আত্মগোপনে এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

Manual1 Ad Code

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এখনও ওই গৃহবধূর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি, পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

June 2018
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..