সিলেট ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: ‘হাতেগোনা কিছু মানুষের জন্য সবার নাম খারাপ হচ্ছে। আর প্রশাসনের কথা বলতে গেলে তারাতো শুধু সুযোগ খুঁজে কিভাবে টাকা হাতানো যায়। আর টাকা পেলেই প্রশাসনের সব ঠিক। টাকা না দিলেই যত সমস্যা’ এভাবেই নিজের আক্ষেপ বিডি২৪লাইভের কাছে প্রকাশ করছিলেন রাজধানীর কামরাঙ্গি চরের সেমাই ব্যবসায়ী রুবেল।
আর মাত্র কয়েকদিন পরই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আর এই ঈদকে সামনে রেখে কামরাঙ্গি চরের বিভিন্ন কারখানায় চলছে রাত দিন সেমাই তৈরির কাজ। ঈদের দিন যতোই এগিয়ে আসছে বিকিকিনিও বাড়ছে ক্রমান্বয়ে।
কামরাঙ্গি চরের তেমনি একটি সেমাই কারখানার মালিক রুবেল। ঈদকে কেন্দ্র করে তিনিও ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেই ব্যস্ততার ফাঁকে কথার ফাঁকে জানিয়েছেন নিজেদের সেমাই ব্যবসার নানা তথ্য ও প্রতিবন্ধকতার কথা।
ঈদকে নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?
রুবেল: সবসময়তো আর আমরা সেমাইয়ের ব্যবসা করি না। শুধু বছরের দুই তিন মাস। আর রোজার ঈদে সেমাইয়ের চাহিদা বেশি থাকে। এই সময়টাতে প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০ মণ সেমাই সাপ্লাই হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩৫০০০ টাকা। আর ঈদ যত ঘনিয়ে আসে এর চাহিদাও বাড়তে থাকে। তবে যাদের মেশিন বেশি তাদের আরও বেশি ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করতে হয়।
মৌসুমী ব্যবসায়ী হিসেবে কর্মীদের কিভাবে বেতন দেন?
রুবেল: আমরা প্রতি বস্তায় তাদের ১২০-১৫০ টাকা দেই। তাছাড়া আমিতো ছোট ব্যবসায়ী, অন্য জায়গায় কাজ করলে দিনে হয়তো তারা ৬০০ টাকাও পায়। তবে সেমাই তৈরির কাজ খুব কষ্টের। তাই কিছু শ্রমিকদের বেশি পারিশ্রমিকও দিতে হয়। আবার অনেক সময় তাদের অগ্রিম টাকাও দিতে হয়। সেটা তারা অন্য বছর কাজ করে পুষিয়ে দেয়।
ব্যবসা করতে গিয়ে কী ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়?
এমন প্রশ্নে হতাশার সুরে রুবেল বলেন, কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আমাদের এ ব্যবসা করতে হয়। লাভ যে হয় না তা কিন্তু নই, তবে সেটা অল্প পরিমাণের। আবার বিভিন্ন সময় দেখা যায় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা আসেন পরিদর্শনে। এসেই নানা উছিলায় তারা টাকা নেয়ার ফন্দি আঁটে। কিছুই করার নেই দিতেতো হবেই। এছাড়া অন্য কোন সমস্যা আমাদের তেমন হয় না।
ঈদ উপলক্ষে কামরাঙ্গি চরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ থেকে ১১টি কারখানায় দিন রাতে চলছে সেমাই তৈরির কাজ। যদিও এ সব কারখানার বেশির ভাগই তেমন স্বাস্থ্য সম্যত নয়। তবুও আইনের বিভিন্ন ফাঁক দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই সেমাই ব্যবসা। যা পরবর্তীতে পৌঁছে যাচ্ছে সারা দেশের মানুষের ঘরে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd