সিলেট ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০১৮
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনাস্থ একটি দোকানে তারাবীর নামাজ শেষে জুতা কিনতে গিয়ে অপছন্দ হওয়ায় দোকানী কর্তৃক ক্রেতা মসজিদ ইমাম ও এক সহযোগিকে আটকিয়ে দোকান বন্ধ করে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত আবুল হোসেন বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দিলে পুলিশ দোকানদার ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। গত ৩ জুন রোববার রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনার পর বুধবার দুপুরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, তারাবীর নামাজ শেষে কমলগঞ্জ পৌরসভার আলেপুর গ্রামের গণি মিয়ার পুত্র মো. আবুল হোসেন (২০) উত্তর আলেপুর ফুরকানীয়া জামে মসজিদের ঈমাম মাও: মাহবুবুর রহমান (২৯)-কে সাথে নিয়ে উপজেলা চৌমুহনা এলাকার আঁখি এন্ড শামীম টেইলার্সের দোকানে জুতা কিনতে যান। জুতা দেখার পর তারা দোকানদারকে আরো ভাল মানের জুতা দেখানোর জন্য বললে জুতা দেখাতে অপারগতা জানিয়ে দোকানে কর্মরত শামীম মিয়া (২০) মাও: মাহবুবুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে বাঁধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানী শহিদ মিয়া, তার স্ত্রী রোওশন বেগম ও ছেলে শামীম মিয়া আবুল হোসেনকে দোকানে আটকিয়ে রেখে তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে মাওলানা মাহবুবুর রহমানকেও নির্যাতনের চেষ্টা করলে তিনি আত্মরক্ষার্থে দোকান থেকে বেরিয়ে যান। পরে হামলাকারীরা আবুল হোসেনের কাছে রক্ষিত একটি স্যামস্যাং মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার ৫০ টাকা কেড়ে নেয়। খবর পেয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুরুজ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আবুল হোসেনকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আনা হয়। এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে আবুল হোসেন বাদী হয়ে মো. শহিদ মিয়া, রোওশন বেগম ও শামীম মিয়াকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত্রক্রমে পুলিশ মামলা রুজু করে বুধবার দোকান মালিক শহিদ মিয়া ও তার স্ত্রী রোওশন বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
স্থানীয় লোকজন জানান, অভিযুক্ত শহীদ টেইলার্স ও স্ত্রী রোওশন বেগম এর অত্যাচারে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠছে। অনেকের কাছ থেকে টাকা ধারদেনা আনলেও আর পরিশোধ করতে চায় না। পাওনাদাররা টাকা চাইলে তাদেরকে নানাভাবে নাজেহাল করে। এছাড়া রোওশন বেগম ডিআইজি, ডিসি, এসপির দোহাই দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
তবে অভিযোগ বিষয়ে দোকান মালিক শহিদ মিয়া জানান, এ দুই ব্যক্তি জুতা কিনতে এসে বার বার দেখার পরও ভালো জুতা দেখাতে বলে। এর চেয়ে ভালো জুতা নেই বললে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এখানে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুরুজ আলী দু’জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বুধবার মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd