সিলেট ২৭শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১৩ই জমাদিউস সানি, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
Sharing is caring!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটে এক মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে ঘরে আটকে রেখে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ঔষুধ খাইয়ে মেন্টাল বানিয়ে হাসপাতালে প্রেরণ, খারাপ লোকের কাছে বিয়ে ও বাসার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ এনে তার বড় বোন শাপলা বেগম কোতোয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। গত ২০ ডিসেম্বর (বুধবার) তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী শাপলা বেগম সিলেট নগরীর পশ্চিম বাগবাড়িস্থ নংরশিংটিলার ১৭৯/১০ নং বাসিন্দ মৃত মো. ছোয়াব আলীর (বীর মুক্তিযোদ্ধা) কন্যা।
অভিযোগে শাপলা বেগম উল্লেখ করেন, তার ছোট বোন তামান্না আক্তার তানিয়াকে গত ২০ অক্টোবর অভিযোগের প্রধান আসামী সৈয়দা পারভীন বেগমের কলাকৌশলে তাঁর নিয়ে যায় ২য় আসামী শামছুল ইসলাম শুভ। তাদের বাড়ির সবাই অসুস্থ্য থাকায় তাদের বাড়িতে কাজ করার কথা বলে তামান্না আক্তার তানিয়াকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তানিয়াকে ওষুধ খাইয়ে মেন্টাল বানানোর প্রক্রিয়া চালায় এবং আমাদের অনুমতি ছাড়া তাকে খারাপ একটি ছেলের সাথে বিয়ের দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাদের কুমতলবে রাজি না হয়ে শাপলা বেগম তার বোন তামান্না আক্তার তানিয়াকে তাদের বাড়ি থেকে আনার জন্য তার আরেক বোন কুলসুমা ইয়াসমিন সুখীকে পাঠান। তানিয়া অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হওয়ায় তার লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটছে এমন কথা বলে তানিয়াকে আনতে চাইলে বিবাদী সৈয়দা পারভীন বেগম, শামছুল ইসলাম শুভ, নোমান আহমদ সহ তার সহযোগিরা মিলে সুখীর উপর হামলা করে। এরপর বিবাদীরা শাপলা বেগমের বাড়িতে এসে তাকে ও তার ছোট বোন সহ সবাইকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসব ঘটনায় শাপলা বেগম ভীতস্তম্ভ হলে তাৎক্ষণিক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সিলেট মহানগরের কয়েক নেতাকর্মীকে ফোন দেয় এবং এ বিষয়ে অবগত করেন। এসব ঘটনা শুনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সিলেট মহানগরের নেতাকর্মীরা শাপলা বেগমের বাড়িতে যান এবং সুকীকে উদ্ধার করেন। তাছাড়া গত ৬ নভেম্বরও উক্ত বিবাদী তার উপর হামলা করে। অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সময় বিবাদীরা তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় এবং তাদের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাংগঠনিক কাজকর্ম করতে বাধাবিপত্তি করে।
………………………..
Design and developed by best-bd