সিলেট ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক- আজ বৃহস্পতিবার রাতেই পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়তে পারে গ্রহাণু।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে প্রবল বেগে এগিয়ে আসছে। ঘন্টায় ৩৪ হাজার কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হযেছে ২০১৭ YZ4। বড়দিনের দিন এটি প্রথম পৃথিবীর খুব কাছে আসে।
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ২ লক্ষ ২৪ হাজার কিলোমিটার৷ সেই একই দূরত্বে চলে এসেছিল গ্রহাণুটিও৷ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই বিশেষ গ্রহাণুটি ১৫ মিটার চওড়া৷ আজ রাত ৯.৫৬ মিনিটে এটি পৃথিবীর সব থেকে কাছে আসবে এটি৷
নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এটি পৃথিবীর পক্ষে বেশ বিপজ্জনক হতে পারে৷ যদি এটি নির্ধারিত দূরত্ব পেরিয়ে আরও কাছে এসে যায় পৃথিবীর৷
বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন, যদি পৃথিবী এবং গ্রহাণুটির মধ্যেকার দূরত্ব ৭ লক্ষ ৪০ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে আসে তাহলে তা যে কোনও মুহূর্তে পৃথিবীর উপরে আঘাত আনতে পারে৷
আরিজনাতে মাউন্ট লেমন সার্ভে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রথম ধরা পরে এই গ্রহাণুর ছবি৷ এই নিয়ে ৫২ তম বার এটি পৃথিবীর এত কাছে আসতে চলেছে৷ পৃথিবীর আশেপাশে মোট ১৭ হাজার ৩৮৯ টি গ্রহাণু ঘোরাফেরা করছে বলে জানাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ এই বছর মাত্র ১৯৮৫ টি নয়া গ্রহাণুর আবিষ্কার করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা৷
গত বছর ১৮৮৮ টি গ্রহাণু এবং ২০১৫ সালে ১৫৭১ টি গ্রহাণুর আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানীরা৷ পৃথিবী থেকে ৬মিলিয়ন মাইল দূরত্বের মধ্যে কোনও গ্রহাণু থাকলেই তা পৃথিবীর কাছের গ্রহাণু হিসেবে ধরা হয়৷ যদি এই গ্রহাণু গুলির গতিবিধির মধ্যে আচমকা কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে সেগুলি যেকোনও মুহূর্তে ভারতের উপর আঘাত আনতে পারে৷
এর আগে নাসা জানিয়েছে, ২০৩৬ সালে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে একটি গ্রহাণুর। তাতেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই গ্রহাণুটির নাম অ্যাপোফিস। ২০০৪ সালেই প্রথম নজরে পড়েছিল গ্রহাণুটি। এরপর গত ১৭ বছর ধরেই গ্রহাণুটির দিকে নজর রাখছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আর শেষ পর্যন্ত তারা জানান, ২০৩৬ সালে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে গ্রহাণুটির। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ডুয়েন ব্রাউন নামে ওয়াশিংটন হেডকোয়ার্টারের এক কর্মকর্তা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd