সিলেট ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
ক্রাইম ডেস্ক : রাজধানীর প্রগতি সরণির ৯০/ক ভবনেই চলছে বেসরকারি কলেজ কুইন মেরী। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এই কলেজে শিক্ষার্থী আছে চার শতাধিক।
১২ তলা কলেজ ভবনটির অষ্টম তলায় আছে একটি ডুপ্লেক্স ভবন, যেটির মালিক শাহ জামাল। তিনি কুইন মেরী কলেজেরই প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান। তাঁর সেই ফ্ল্যাটে নিয়মিত চলত ইয়াবার আড্ডা ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড। ওই ফ্ল্যাটে ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি কথিত মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করতেন শাহ জামাল। আর যারা ইয়াবা চাইত তাদের নিজের প্রিমিও প্রাইভেট কারে করে পৌঁছে দিতেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর এক দিনের রিমান্ডে স্কুল-কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জামাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার বালিগাঁও গোয়ারা গ্রামে বাড়ির কাছে কুইন মেরী নামে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছেন জামাল। সবাই তাঁকে শিক্ষানুরাগী বলেই জানে। এই সুযোগে কয়েক বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, কক্সবাজারের টেকনাফের আইয়ুব ও আজিজ নামে দুই ইয়াবা ডিলার তাঁকে ইয়াবা সরবরাহ করত। রাজধানীর বারিধারাসহ অনেক অভিজাত এলাকায় তাঁর ইয়াবা ক্রেতা রয়েছে। মূলত তাদের জন্যই ইয়াবার রংমহল তৈরি করেন ভয়ংকর মাদক ব্যবসায়ী জামাল।
ডিএনসির কর্মকর্তারা জানান, গত ২ ডিসেম্বর ভাটারা এলাকা থেকে এক হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ও প্রিমিও গাড়িসহ জামালকে গ্রেপ্তার করেন ডিএনসি কর্মকর্তারা। পরে তাঁর সেই ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে আলমারিতে বালিশের কাভারের ভেতরে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। বারিধারা এলাকায় নিজস্ব আরেকটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন জামাল। আর প্রগতি সরণির সেই ফ্ল্যাটটি মূলত অপকর্মের জন্যই ব্যবহার করা হতো।
ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী জামালকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন ভুইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে আজ (গতকাল) তাঁকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘শাহ জামাল আমাদের কাছে ইয়াবা কারবার, ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে রংমহল তৈরিসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে তিনি বিজ্ঞ আদালতের কাছে জবানবন্দি দেননি। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd