সিলেট ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৭
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি : জৈন্তাপুর উপজেলা খাঁসিয়া হাওরে যন্ত্র দানব বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে একটি পাথর খেকু চক্র। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর নিবর ভূমিকা পালন।
শুক্রবার জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তের ১২৭৮নং আর্ন্তজাতীক পিলারের ৫এস নং পিলার এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় ভারত হতে সৃষ্ট খাঁসি ঝর্ণার কারনে বাংলাদেশ অংশে খাঁসি নদী জন্ম। নদীর উৎস মূখে স্থানীয় প্রভাবশালী পাথর খেকু চক্র দৃষ্টি পড়ে পাথরের উপর। কোন প্রকার কোয়ারী ঘোষনার আগেই গত ১সপ্তাহ হতে খাঁসি নদীর উৎস মুখে বোমা মেশিন ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করছে চক্রটি।
ইতোমধ্যে চক্রটি প্রায় ৩৫টি বোমা মেশিন স্থাপন করে পাথর আহরন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নদীর প্রায় ১০একর জায়গা জুড়ে চক্রটি বোমা মেশিন মাধ্যমে পরিবেশ বিধ্বংসে মহাযজ্ঞ চালাচ্ছে। ১২৭৮নং আন্তজার্তীক পিলারের ৫এস পিলার হতে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১৫০গজ দূরে খুঁটি পুতে দিয়েছে। অপরদিকে খাঁসি নদীর উৎস্য মুখ হতে বোমা মেশিন ব্যবহার করে পাথর উত্তোলনের ফলে নদীর তীরবর্তী প্রায় শত শত একর ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে বলে ধারনা করছে সচেতন মহল তাছাড়া অবৈধ পন্থায় এই নদী হতে পাথর আহরনের ফলে সরকার রাজস্ব হারাবে। সচেতন মহল দাবী খাঁসি নদী হতে দ্রুত পাথর খেকুদের কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের মুখে পড়বে। তাই এখনই সময় এদের উচ্ছেদ করা।
এবিষয়ে জানতে সারী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি গবেষক ও লেখক আব্দুল হাই আল হাদি জানান- জাফলংয়ের মত আর কোন স্থান যেন পাথর খেকু হাতে ধ্বংশ না হয় সেজন্য শুরুতেই প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তা বন্ধ করতে হবে। অন্যতায় নদী হারাবে তার জৈব্য বৈচিত্র, ফসলী জমি বিলিন হবে, পরিবেশ হবে ধ্বংস। সে জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
এবিষয়ে জানতে বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার জানান- যেহেতু এটি কোন কোয়ারী নয় এবং সরকার কোন ইজারা নেই সে ক্ষেত্রে এখানে পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ বেআইনি। বোমা মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে পাথর আহরন করা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমি সংশ্লিষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দৃষ্টি আর্কষণ করছি অভিলম্বে এসকল বেআইনি কাজ বন্ধ করার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।
এবিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদকে জানান- খাঁসি নদীর বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই বা এখান হতে পাথর আহরন বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd