সিলেট ১৭ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা রমজান, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
Sharing is caring!
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে দিনদুপুরে বৃট্রিশ পাসপোর্ট’সহ যুক্তরাজ্য প্রবাসী মহিলার ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল সেট ছিনতাই হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড বিশ্বনাথ শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করে অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে বাড়ি যাওয়ার পথিমধ্যে বগিরচক নামকস্থানে এঘটনাটি ঘটে। ছিনতাইয়ের ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে ‘ব্যাংক কর্মকর্তাদের’ যোগসাজশ রয়েছে বলেও এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে উত্তারা ব্যাংকে থাকা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জরিনা বেগমের নামীয় একাউন্ট থেকে ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও তার পুত্রবধু জেবুন্নাহারের নামীয় একাউন্ট থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলন শেষে ব্যাংকে থাকা অবস্থায়ই একজনকে ১ লাখ টাকা প্রদান করেন প্রবাসী মহিলা। এরপর সাথে থাকা ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও পূর্ব থেকে তাদের সাথে থাকা ১০ হাজার টাকা নিয়ে অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে প্রবাসী মহিলাসহ ৩জন মহিলা বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। উপজেলার বগিরচক নামক স্থানে যাওয়ার পর আরেকটি অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে আসা ৩ জন ছিনতাইকারী তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে। এসময় ছিনতাইকারীরা তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসী মহিলার বৃট্রিশ পাসপোর্ট, ২টি মোবাইল ও নগদ ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবদুল মান্নান সাংবাদিকদেরকে বলেন, বিশ্বনাথে প্রায় পৌনে ২ বছর ধরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে একজন গ্রাহক এক দিনে সর্বোচ্চ ৭/৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। আজ (বুধবার) ওই প্রথম কোন গ্রাহককে এক সাথে ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন। ‘পুলিশকে না জানিয়ে ও ব্যাংক রুল ভঙ্গ’ করে কি কারণে একজন গ্রাহককে হঠাৎ করে এত টাকা দিয়েছেন সাংবাদিকরা আবদুল মান্নানকে প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেন নি।
এদিকে, প্রবাসী মহিলা জরিনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তার নিজের নামীয় একাউন্ট থেকে কোন টাকা (বুধবার) উত্তোলন করেন নি। পুত্রবধু জেবুন্নাহার তার নিজের একাউন্ট থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন প্রবাসী মহিলার হাতে দিয়েছেন। আর বৃট্রিশ পাসপোর্ট, ২টি মোবাইল সেট’সহ ওই টাকাই ছিনতাই হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রবাসীর পুত্রবধু জেবুন্নাহার বলেন, উপজেলা সদরের উত্তরা ব্যাংকে থাকা আমার নিজের নামীয় (১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) ও শ্বাশুড়ির (২২ লাখ ২০ হাজার টাকা) পৃথক দুটি একাউন্ট থেকে বুধবার সকালে উত্তোলন করি। ব্যাংকে থাকা অবস্থাই আমরা একজনের পাওয়া ১ লাখ টাকা দিয়ে দেই। অবশিষ্ট টাকাগুলো (২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা) শ্বাশুড়ির কাছে দিয়ে দেই। এরপর ব্যাংক থেকে বের হয়ে সিএনজি যোগে আমরা বাড়ি যাওয়ার পথিমধ্যে আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বৃট্রিশ পাসপোর্ট, ২টি মোবাইল সেট’সহ টাকাগুলো ছিনতাই করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা নিতে হলে পুলিশকে অবহিত করার জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা সদরের মাইকিং করা হয়। কিন্ত বুধবার উত্তরা ব্যাংক থেকে এত টাকা গ্রাহককে দেয়া হলেও বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিংবা গ্রাহক পুলিশকে অবহিত করেনি। তবে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি রহস্যজনক। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
………………………..
Design and developed by best-bd