সিলেট ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিয়েন্ত কিয়াইং বলেন, ‘আমরা একটি সীমান্ত তল্লাশি চৌকিতে একদিনে ১৫০ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করতে পারি’। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে তুংপিও লিতওয়ে ও এনগা খু ইয়া গ্রামের দুটি তল্লাশি চৌকির মাধ্যমে। পরে তাদের পুনর্বাসন করা হবে মংডু শহরের দার গি জার গ্রামে।
তবে দুই দেশের স্বাক্ষরিত ১৯৯৩ সালের শরণার্থী প্রত্যাবাসন চুক্তিতে সংশোধন চায় বাংলাদেশ; যাতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে পারেন। কিন্তু ইউ মিয়েন্ত কিয়াইং বলেন, প্রধান চার মূলনীতির পরিবর্তন হবে না।
চুক্তির প্রধান চার মূলনীতিতে বলা হয়েছে, ফিরতে হলে শরণার্থীদের প্রমাণ দেখাতে হবে যে তারা মিয়ানমারের বাসিন্দা, প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, যেসব শিশুর জন্ম শরণার্থী শিবিরে তাদের পিতা-মাতাকে অবশ্যই মিয়ানমারে বসবাস করতে হবে, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন শরণার্থীদের বাংলাদেশের আদালত থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে তা দেখাতে হবে।
তবে মিয়ানমারের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এই চুক্তির অধীনে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেও আরো অতিরিক্ত পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। এই পদক্ষেপের মধ্যে যারা ফিরে আসবে তাদের মধ্যে থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শরণার্থীদের ফেরাতে দুই দেশের মাঝে সমঝোতা স্মারক সইয়ের ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আরাকানে ৭ হাজার রোহিঙ্গাকে ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। একমাসের জাতীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে এ ভেরিফিকেশন কার্ড দিয়েছে দেশটি। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি এবং একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। এতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে হত্যা ও নির্যাতনের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে শুরু হয় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র : দ্য ইরাবতি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd