ভয়ঙ্কর তীর খেলার নিয়ন্ত্রকদের আস্তানা এখন ধোপাদিঘীর পাড়

প্রকাশিত: ২:২৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৭

সিলেটে আবারো জমজমাট হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর তীর খেলা। এর আগের তীর খেলার মাধ্যমে জুয়ার আসরের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করেছিল মহানগর পুলিশ। এর অংশ হিসেবে গোয়েন্দা পুলিশের ব্লকরেইডও দিয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে সিলেটে কম করে হলেও অর্ধশতাধিক জুয়ার আসর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ। কিন্তু জুয়ার আসর বন্ধ করা হলেও ফাঁড়ি ও গোয়েন্দা পুলিশের মাঠপর্যায়ের সদস্যদের কারণে তীর খেলা ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সিলেট নগরীতে।
এই খেলায় ঝুকেছেন রিকশা চালক, সিএনজি অটোরিকশা চালক, ক্ষুদ্র দোকানি থেকে চাকরিজীবীরাও। এমনকি ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েও তীর খেলায় অংশ নিচ্ছে লোকজন এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় তীর খেলা চলছে। পাশাপাশি উত্তর সুরমায়ও চলছে এ খেলা।
গত দুই মাস ধরে নগরীর ধোপাদিঘী পূর্বপাড় (পুকুর পাড়ে সিএনজি অটোরিক্সা গেরেজে), সোবহানীঘাট পয়েন্টে মার্কেটের ২য় তলায়, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, কাষ্টঘর, নাইওরপুল পয়েন্টে মাজারের গলিতে তীর খেলার ‘ডে এবং নাইট’ চলছে জমজমাট। এলাকাবাসীদের অভিযোগ সোবহানীঘাট পুলিশ ফাড়িঁকে ম্যানেজ করে ভয়ঙ্কর তীর খেলার জুয়া চলছে। মাছিমপুর এলাকার জামাল ও রাসেল নামের ২ যুবক ওই এলাকার জুয়ার নিয়ন্ত্রক। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তীর খেলার কারণে সন্ধ্যার পর জমজমাট থাকে ধোপাদিঘীর পূর্বপাড়। প্রতিদিন ৫-৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়। ধোপাদিঘীর পূর্বপাড়ে আসাদ ডেন্টাল ক্লিনিকের পিছনে পুকুর পাড়ে সিএনজি অটোরিক্সার গেরেজে এই সিন্ডিকেটের আস্তানা। এখান থেকেই ধোপাদিঘীরপাড়, সোবহানীঘাট, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, কাষ্টঘর, নাইওরপুল নিয়ন্ত্রন করে মাছিমপুরের রাসেল ও জামাল। এই চক্রের ৫ সহযোগী সদস্য আলামিন, সামাদ, জুবেল, আলম ও কালা মিয়া টিকিট কেটে ওয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে মাছিমপুরের জামাল ও রাসেল কাছে পাঠায়।
এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন সোবহানীঘাট পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ এসআই কমর উদ্দিন। তিনি বলেন, এখন আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। অভিযান দেয়া হবে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন জানান, তীর খেলা নির্মূল করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষ সচেতন হলেই এই খেলা বন্ধ হবে। তবে এই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি দেখছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..