সিলেট ৫ই মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ২০শে রজব, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৭
Sharing is caring!
ক্রইম সিলেট ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গায় সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাকে নেবে না প্রসূতি কিশোরী টুম্পা (ছদ্মনাম)। তার নানা ও নানি লিখিতভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলা সমাজ সেবার প্রবেশন অফিসারের নিকট বলেছেন, ওই নবজাতকের ওপর আমাদের কারো কোনো দাবি নেই। নবজাতককে কেউ কোনোদিন দাবি করবে না। অবশ্য নবজাতকের মা কিশোরী টুম্পা এ রকম কোনো বক্তব্য দেয়নি।
অপরদিকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী টুম্পাকে ফুসলিয়ে যে ভগ্নিপতি রামনগর সেন্টারপাড়ার সার্টারমিস্ত্রি ইব্রাহিম সর্বনাশ করেছে তার অবশ্য প্রকাশ্যে দেখা মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টুম্পা নামের অন্তঃসত্ত্বাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী বলে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর রাত ৭টা ৩৬ মিনিটে কন্যা সন্তান প্রসব করে টুম্পা।
পরদিন সকালেই টুম্পাসহ তার সাথে থাকা দু’বৃদ্ধা সটকে পড়ে। নবজাতককে ফেলে রেখে সরে পড়ার কারণে অনেকেরই সন্দেহ হয় ওই প্রসূতি নিশ্চয় অবৈধ কোনো সম্পর্কের শিকার হয়েছে।
পরদিন অনেকেই টুম্পার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করে। সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা সন্তান ফেলে সটকে পড়া প্রসূতির খোঁজ খবর নিতে গিয়ে জানা যায়, টুম্পার বয়স ১৪ বছর। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশও নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবারও সে পরীক্ষায় অংশ নেয়। দীর্ঘদিন ধরে সে তার বান্ধবীসহ প্রতিবেশীদের বলে আসছিলো তার পেটে টিউমার রয়েছে। শরীরে জমছে পানি। এ কারণে ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে তেমন কেউ সন্দেহ করেননি। ওই দিনই গ্রামের সাধারণ মানুষ টুম্পার পরিচয় ফাঁস করে।
বিস্তারিত জানতে গেলে টুম্পা জানায়, তারই বড় বোনের স্বামী ইব্রাহিম ফুসলে তাকে সর্বনাশ করেছে।
সমাজ সেবা অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার প্রবেশনাল অফিসার বিডি২৪লাইভকে জানান, বিষয়টি বিস্তারিত জানার পর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সাথে যোগাযাগ করা হয়। হাসপাতালেরই স্বেচ্ছাসেবিকা হিসেবে কর্মরত দু’নারীর নিকট ওই নবজাতকের দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বেশ ক’জন ওই নবজাতককে পাওয়ার আশায় আবেদন করেছেন। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়। তিনি আদালতের মাধ্যমে সবকিছু সমাধানের সিদ্ধান্ত নেন।
নবজাতককে নেয়ার জন্য অনেকে ঘুরলেও শেষ পর্যন্ত তিনজন লিখিতভাবে আবেদন করেছেন, এদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) নতুন করে কোনো আবেদন না পড়ায় আদালত ওই তিনজনের যে কোনো একজনকে নবজাতক কন্যাকে সন্তান হিসেবে লালন পালনের আদেশ দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শিশু আদালতের বিচারক শাহানা সুলতানা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কো-অর্ডিনেটর শিশুটির সম্পকর্কে যে রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করেছেন সেখানে শিশুটির বিস্তারিত পরিচয় না দেওয়ায় আগামী বুধবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আলাদতে উপস্থাপন করা সাপেক্ষে আদালতে আবেদন করা তিন দম্পত্তির যে কোন একজনকে নবজাতক কন্যাকে সন্তান হিসেবে লালন পালনের আদেশ প্রদান করবেন বিজ্ঞ বিচারক।
………………………..
Design and developed by best-bd