সিলেট ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: আখালিয়া -মদিনা মার্কেট, বাঘবাড়ী, পাঠানটুলাসহ বিভিন্ন হাটবাজার এবং গুরুত্বপুর্ন এলাকায় তীর খেলার নামে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। এদিকে প্রকাশ্যে এসব জুয়ার আসর বসলেও নিরব ভূমিকা পালন করায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সিলেটে ফের জমজমাট হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর তীর খেলা। এর আগের তীর খেলার মাধ্যমে জুয়ার আসরের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করেছিল মহানগর পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে সিলেটে কম করে হলেও অর্ধশতাধিক জুয়ার আসর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার-হাজার টাকার তীর খেলা চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,ওইসব এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, অথের মিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বসে জুয়ার আসর। ফলে জুয়াড়ীরা কোন প্রকার ভয়ভীতির তোয়াক্কা না করে নির্বিগ্নে প্রকাশ্যে প্রতি দিন জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ও এলাকার বাইরে থেকে আসা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, যুবক, রিক্সা ও ঠেলা চালকসহ শ্রমিক শ্রেণির মানুষ সর্বনাশা এ তীর খেলায় জড়িয়ে পড়েছেন। যার ফলে এলাকায় গণ গণ চুরি, ছিনতাই ঘটনা ঘটটে চলছে। এবং বাসাবাড়ী বিদ্যুৎতের তার চুরিসহ হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন একাধিকবার বাধা দিয়েও এ খেলা বন্ধ করতে পারছেন না।
যুব সমাজকে রক্ষার স্বার্থে এলাকার পক্ষ থেকে বিষয়টি মৌখিকভাবে অনেকবার সিলেট জালালাবাদ থানা অবহিত করার পর প্রায় কয়ক মাস আগে আখালিয়া ক্বারীপাড়া গ্রামের সাইদুল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু খেলার আয়োজকদের গ্রেপ্তার না করায় এখানে তীর খেলা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
জালালাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনই তীর খেলার আসরে পুলিশ ধাওয়া করছে। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারো শুরু হয় খেলা।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) জানিয়েছেন, তীর খেলার বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর। তিনি বলেন, তীর খেলা নির্মূল করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষ সচেতন হলেই এই খেলা বন্ধ হবে।
এদিকে এলাকাবাসীর দাবী একাধিকবার জুয়া খেলার ব্যাপারে থানার অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্ত অজ্ঞাত কারনে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অবিলম্বে প্রশাসন এসব জুয়া খেলা বন্ধ না করলে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। দিন দিন অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিবে। তাই তারা প্রশানের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্ত ক্ষেপ কামনা করেছেন বৃহত্তর আখালিয়া এলাকাবসী।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd