লোভাছড়ায় তমিজ বাহিনীর অবৈধ চাঁদা আদায়ের হাতিয়ার কানাইঘাট থানার এএসআই বেলাল

প্রকাশিত: ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২০

লোভাছড়ায় তমিজ বাহিনীর অবৈধ চাঁদা আদায়ের হাতিয়ার কানাইঘাট থানার এএসআই বেলাল

Manual3 Ad Code

ক্রাইম প্রতিবেদক :: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে থানা পুলিশের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন একটি প্রভাবশালী চক্র। প্রায় দুই মাস থেকে লোভাছড়া এলাকায় এই চক্রটি অবৈধ বোমা মেশিন ও এক্সেভেটর-ফেলুডারের মাধ্যমে বেপরোয়া ভাবে এই ধ্বংস লীলা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

উপজেলার ছতিপুর গ্রামের পাথর ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিন বলেন, লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে ১নং লক্ষীপ্রশাদপূর্ব ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য তমিজ উদ্দিন (মতই) বাহিনীর লোকজন বেপরোয়া লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। এই বাহিনী দিয়ে প্রতিদিন পাথর কোয়ারী এলাকায় মহড়া দিতে থাকেন তমিজ। কোয়ারীতে প্রায় তিনশত পাথর উত্তোলের গত রয়েছে। প্রতি গর্ত থেকে দুই লক্ষ টাকা করে আদায় করেন। গর্ত থেকে এই চাঁদা আদায় করেন থানা পুলিশের এএসআই বেলাল। এর বাহিরে রয়েছে রয়েলটির নামে চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজরা পাথর থেকে অর্ধৈকের ও বেশি টাকা আদায় করেন।

 

শাহাব উদ্দিন আরও জানান, গত ৭ জানুয়ারি আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ ও তমিজ উদ্দিন কোয়ারীর ছয়টি গর্ত বন্ধ করে দেন। পরে বড় অংকের টাকার বিনিময় ৮ জানুয়ারি বুধবার উপজেলার ছতিপুর গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে আহাদ হোসেন, আলতাফ উদ্দিনের ছেলে রাসেল আহমদ, সমশের আলমের ছেলে তাহের আহমদ, কান্দলা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে বিল্লল আহমদ ও সাউদ গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিনের গর্তসহ মোট পাঁচটি বন্ধ কোয়ারী খুলে দেন পাথর খেকোরা। কিন্তু তাদের চাওয়ার পরিমান টাকা না দেওয়ায় রেজয়ানের একটি পাথর উত্তোলেনের গর্ত এখনো বন্ধ রয়েছে। এদের সাথে রয়েছে কানাইঘাট থানা পুলিশের গভীর সখ্যতা। বিদায় তারা থানা পুলিশের মাধ্যমে ঘরে বসেই সহজে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এই টাকার ভাগ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের কাছেও পাঠাতে হয়।

Manual5 Ad Code

 

থানাইঘাট থানা পুলিশের এএসআই বেলাল প্রতিদিন কোয়ারী এলাকায় পাহরা দিতে থাকেন। যার ফলে মাস শেষে বেলাল এক্সেভেটর থেকে ৩০ হাজার ফেলুডার থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন। কোয়ারীতে বর্তমানে রয়েছে প্রায় তিনশত এক্সেভেটর ও ফেলুডার। এদিকে ৩শতাধিক গত রয়েছে প্রতি গর্ত থেকে দুই লক্ষ টাকা আদায় হচ্ছে। বেলাল এ সকল টাকা আদায় করে তমিজ উদ্দিন বাহিনীর নিকট হিসাব সমজিয়ে দেন। এসকল দায়িত্বে রয়েছেন থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।

 

Manual7 Ad Code

তাদের চাঁদাবাজির কারণে এলাকার শান্তিকামী লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের পড়তে হয় বিভিন্ন হামলা মামলায়। বিদায় এই চক্রটি নিরবে পুলিশের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।

 

Manual4 Ad Code

শাহাব উদ্দিন বলেন, তিনি এই বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার তাহার উপর একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন এই চক্রের সদস্যরা। বর্তমানে থানার এসআই কাউছার এই মামলাটি তদন্ত করছেন। কাউছার বিভিন্ন টাকা নেওয়ার জন্য শাহাব উদ্দিনকে হুমকি প্রদান করেন।

 

এই অবৈধ পাথর খেকো তমিজ বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিলেট জেলা পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার শান্তিকামী মানুষজন।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..