নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারণায় যারা

প্রকাশিত: ৬:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০১৮


Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন এগিয়ে আসছে। আগামী জুন-জুলাইয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারণা।

বর্তমান মেয়র মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন এতোদিন অনেকটা নিশ্চিত থাকলেও হঠাৎ করে চলতি বছরের শুরুতে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আসাদ।

প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনী প্রচারণায় নামায় অনেকটা বেকায়দায় পরেছেন আরিফ ও কামরান। খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ যেভাবে বর্তমান মেয়র ও প্রভাবশালী নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন মুখ প্রার্থী করায় তাদের বেলায়ও এমন মডেল অনুসরণ করা হবে কি-না এ চিন্তায় আরিফ-কামরানের এখন ঘুম হারাম। তাদের গলার কাটায় পরিণত হয়েছেন এক সময়ের ঘনিষ্ট সহচর সেলিম-আসাদ। এনিয়ে সচেতন নাগরিকরাও নানা হিসেব নিকেশ শুরু করেছেন।

Manual3 Ad Code

তবে ইতোমধ্যে কামরানের অনুসারীরা দলীয় প্রার্থী হিসেবে গ্রীন সিগন্যাল পাওয়ার প্রচারণা চালিয়ে গেলেও অনসন্ধানে এর সত্যতা মিলেনি।

সিসিকের বর্তমান ও সাবেক মেয়রের স্থলাভিষিক্ত হতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের নিজ দলীয় মহানগর শাখার দুই সাধারণ সম্পাদক। তারা বলছেন, নগরবাসী নতুন নগরপিতার প্রতীক্ষায়। আর নগরবাসীর এ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতেই তৃণমূলের চাহিদা ও নগরবাসীর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। আর এতে নগরবাসীর বিপুল সাড়াও রয়েছে।

Manual1 Ad Code

এদিকে বর্তমান ও সাবেক মেয়র দু’জন দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতা। কামরান ছিলেন দু’বার সিসিক মেয়র ও একবার তৎকালীন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান। অপরজন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী গত সিসিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।

সিলেটের মানুষের কাছে এই দুজনই আলোচিত ব্যক্তি। সমালোচনাও আছে তাদেরকে নিয়ে। দু’জনই দুর্নীতির দায়ে কারাভোগ করেছেন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।

কামরান মনোনয়ন পাবেন এবং তাকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছেন বলেও তিনি দাবি করছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কাজ করে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি আরিফুল হকের। তাই তারা মনোনয়ন পাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।

Manual1 Ad Code

সূত্র মতে, মনোনয়নের প্রত্যাশা নিয়ে ঘরে বসে নেই এ দুই নেতা। রীতিমতো চালিয়ে যাচ্ছেন লবিং-তদবির। তাদের দৌঁড়ে পিছু নিয়েছেন সাবেক দুই ছাত্রনেতা। যারা বর্তমানে মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে। গত কিছু দিন থেকে আগামী সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে এ প্রতিযোগিতা। মনোনয়ন প্রাপ্তির এ প্রতিযোগিতা চলছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির শীর্ষ চার নেতাদের মধ্যে। নেপথ্যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়রের টিকিট পেতে কে কার আগে যাবেন-এমন পেরেশানিতেই ব্যস্ত তারা।

মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে যতটুকু আশাবাদী কামরান-আরিফ তাদের চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আসাদ উদ্দিন আহমদ এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা বদরুজ্জামান সেলিম। শুধু যে তারা আত্মবিশ্বাসী এমন নয়, তারা এখন রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..