সিলেট ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় কুখ্যাত রাজাকার আলাউদ্দিনের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় ফুঁসে ওঠেছেন উপজেলাধীন সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে তার সকল সনদপত্র বাতিলের জোর দাবি জানান তারা। অচিরেই ওই দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বয়কটসহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
রোববার (২১ আগস্ট) বিকালে ‘উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম’র ব্যানারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রধান করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন- ১৯৭১ সালে রাজাকার আলাউদ্দিন প্রকাশ্যে দেশ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। পাকিস্তানিদের পক্ষে সে এলাকায় লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, নারকীয় হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। অথচ দেশ-স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় কীভাবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয় তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ?
উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক বলেন, ‘গত তিনমাস যাবত স্বীকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর চন্দ্র সরকারের সম্মানী ভাতা বন্ধ রয়েছে। অথচ একাত্তরে রাজাকার আলাউদ্দিন প্রকাশ্যে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা এবং ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর চন্দ্রের পিতা দেশপ্রেমিক গোপাল চন্দ্র সরকারকে নির্মমভাবে হত্যা করে।অথচ সে ২০০৫ সালে বিশেষ তদারকির মাধ্যমে সেনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে গেজেটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু অদৃশ্যভাবে সে এখন রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতাও পাচ্ছে। অবিলম্বে রাজাকার আলাউদ্দিনের সকল সনদপত্র বাতিল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর চন্দ্র সরকারের সম্মানী ভাতা চালু করা না হলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফর আলী বলেন- ‘আলাউদ্দিন একজন কুখ্যাত রাজাকার। তার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় থাকবে এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। দোয়ারাবাজারে এখনও আমরা সাড়ে ৩শ’ মুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকতে তা কোনোভাবেই মেনে নেব না। অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে রাজাকার আলাউদ্দিনের নামসহ তার সকল সনদপত্র বাতিল করা না হলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বয়কট করতে বাধ্য হবো।’
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, উমর আলী মাস্টার, নুরুল ইসলাম, জহুর আলী, খোরশেদ আলম, ওয়ারিছ আলী, নসু মিয়া, মফিজ উদ্দিন, আবদুল মালেক, আবদুল খালেক, আবদুস সামাদ, সমাছুদ্দিন, লালমিয়া প্রমুখ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd