সিলেট ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২২
ক্রাইম ডেস্ক :: মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক সরাসরি ঘুষ নেন না, কিন্তু ঘুষ নেওয়ার জন্য উনার থানায় বিস্বস্ত পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে। গত ২৫ শে এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন একজন খামার ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম কর্মী। মৌলভীবাজার সদর থানাধীন সেন্ট্রাল রোডস্থ লাল কিল্লা হোটেলের সামনে রাত আনুমানিক ১২:০০ ঘটিাকায় সময় সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনীর হামলায় গুরুত্বর আহত হলে এলাকার লোকজন আহত রায়হানকে উদ্ধার করে স্থানীয় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর মৌলভীবাজার হাসপাতালে ওই দিন রাতেই আহত রায়হানের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন।
সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে রায়হানের মা সৈয়দা বেগম মৌলভীবাজার সদর থানায় যান এবং জুয়েল বাহিনীর ৫ জন এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ২৬ শে এপ্রিল ২০২২ ইং রাত ১১:০০ ঘটিকায় সময় অভিযোগ পত্রটি নিয়ে রায়হানের মা ওসির সাথে কথা বলতে গেলে ওসি বলেন ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলতে। ডিউটি অফিসারকে অভিযোগ পত্রটি দেওয়া মাত্র ডিউটি অফিসার কালাম আহত রায়হানের মাকে বলেন খরচপাতি দিলে মামলা রেকর্ড হবে।
রায়হানের মা কথাটি আমলে না নিয়ে চলে আসেন। ২৮শে এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে ওসিকে দুপুর ১:০০ ঘটিকায় সময় ফোন করেন রায়হানের মা, তখন ওসিকে বলেন আমার অভিযোগের এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি। তখন ওসি রায়হানের মাকে বলেন আপনি থানায় আসেন। রায়হানের মা ওসির কথা মতে থানায় গেলে ওসি ইয়াছিনুল হক ডিউটি অফিসারের কাছে যেতে বলেন। ওসির কথায় ডিউটি অফিসারের সাথে দেখা করতে গেলে দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার ছায়েদ বলেন আপনি কিছু বুঝেন না ! স্যার কেন ডিউটি অফিসারের কাছে পাঠায়। মামলা এফ আই আর করতে হলে ৪০ হাজার টাকা লাগবে। এক টাকা কম হলে হবে না। ওসি স্যার বলে দিয়েছে ৪০ হাজার টাকা দিলে আপনার অভিযোগ এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এখানে আমার কোন লাভ নেই পুরটাই স্যার নেবে। তখন আহত রায়হানের মা সৈয়দা বেগম বলেন আমি এত টাকা দিতে পারবো না। ২ ঘন্টার ভিতরে ১০ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবো।ছায়েদ বলেন ১০টা টাকাও কম হবে না।
রায়হানের মা সৈয়দা বেগম থানা থেকে বের হয়ে ফোন করে দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়ার সম্পাদকের কাছে তিনি বলেন আমার ছেলে আপনাদের পত্রিকার প্রতিনিধি হিসাবে আছে। আমি রায়হানের মা মৌলভীবাজার থেকে বলছি। সম্পাদককে বিস্তারিত বলেন থানায় ৪০ হাজার টাকা চায় মামলা রেকর্ড করার জন্য, টাকা না দিলে মামলা রেকর্ড করবে না। আপনি অনেক বড় মাপের লোক আপনি একটি বার ওসিকে বলে দেন, ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমার মামলাটা যেন রেকর্ড করে নেন। আমি ১০ হাজার টাকার কথা বলেছি কিন্তু মানেনি। আপনি বললে হয়তে মানতে পারে । সম্পাদক বলেন ন্যায় বিচার পেতে ১০ টাকাও লাগে না। আপনি থানায় বসেন আমি বিষয়টি দেখছি।
সম্পাদক মৌলভীবাজার এসপি মোঃ জাকারিয়াকে বিষয়টি অবগত করলে এসপি জাকারিয়া ওসি ইয়াছিনুল এর সাথে কথা বললে ওসি সৈয়দা বেগকে ডেকে তার রুমে নিয়ে যান এবং বলেন আপনি এসপি স্যারকে এই মুহুর্তে ফোন দিয়ে বলবেন আমরা কোন টাকা আপনার কাছে চাইনি। তাহালে আপনার মামলা রেকর্ড হবে। এখন আর টাকা লাগবে না। এরপর আনুমানিক ৩:১২ মিনিটে সৈয়দা বেগমের মোবাইল নং ০১৭১৫-০৮৭০২৪ নাম্বার থেকে এসপি মৌলভীবাজার এর নাম্বার ০১৩২০-১১৯৭০০ তে ফোন দিলে মামলা রেকর্ড করানো স্বার্থে ওসির শেখানো কথা গুলো এসপি সাহেবকে তিনি বলেন। এরপর মামলা রেকর্ড করা হয়। মৌলভীবাজার সদর থানা মামলা নং -৩৫, জি.আর-১২৭, সময় ০১:১০ মিনিট (মৌলভীবাজার এস.পি কে রায়হানের মা ফোন দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পিছনের সময় উল্লেখ্য পূর্বক মামলাটি রেকর্ড করা হয়)।
অনুসন্ধানে জানা যায় ওসি ইয়াছিনুল হক আগে থেকে ২লক্ষ টাকা খেয়েছেন এই ঘটনার বিষয়ে মামলা নিবে না বলে। রায়হানের মায়ের কাছে ওসি ৪০ হাজার টাকা চাওয়ার কারণ হলো, ওসি জানান আহত রায়হানের পরিবারের সামর্থ্য নেই ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার মত । টাকা দিতেও পারবে না তাদের মামলাও রেকর্ড হবে না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd