সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: অবশেষে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে গৃহিত হয়েছে। বাদীপক্ষের নারাজিতে চার্জশিট দাখিলের প্রায় সাড়ে চার মাসের মাথায় এসে আদালতে গৃহিত হলো সেটি। এদিকে, চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন চার্জশিট গ্রহণ করেন। মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ বলেন, আদালতে চার্জশিট গৃহিত হওয়ার সময় গ্রেফতারকৃত সকল আসামি ছিলেন হাজির। গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মারা যান তিনি। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করেন একটি হত্যা মামলা। মামলাটির তদন্তে প্রথমে পুলিশ দায়িত্ব পায়। পরে ১৩ অক্টোবর মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)।
গত ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে। ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, তাদের পাঁচজনই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ। অভিযুক্ত অপরজন আব্দুল্লাহ আল নোমান। তার বাড়ি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েবে সহযোগীতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও এখনও পলাতক রয়েছেন নোমান।
ধারণা করা হচ্ছে, সে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে গেছে ভারতে। এদিকে, পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয় তার। উল্লেখ্য, রায়হান হত্যা ঘটনার পর পালিয়ে যান বন্দরবাজার ফাড়ির তৎকালীন আইসি এসআই আকবর। পরে গত বছরের ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। ১০ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ড শেষে ১৭ নভেম্বর আদালতে হাজির করা হয় তাকে। পরবর্তীতে আকবরকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd