সিলেট ১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
কানাইঘাট সংবাদদাতা :: কানাইঘাটে বিস্ফোরনে প্রবাসীর আহত শিশু সুলতান (১০) এখন আশংকাজনক অবস্থায় এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। সে ওই হাসপাতালের ৩য় তলার ৮নং-ওয়ার্ডের ৩নং-বেডে চিকিৎসাধীন। বিস্ফোরনের আঘাতে তার ডান হাতের একটি আঙ্গুলের অর্ধেকাংশ পুড়ে গেছে। বাকি ৪টি আঙ্গুলও চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। বাম হাতের অবস্থা আরও নাজুক। বাম চোখ অস্ত্রপাচার করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে বিস্ফোরকের ১৭টি স্প্রিন্টার বের করেছেন চিকিৎসকরা। এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার ১০দিন সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেনি পুলিশ। ফলে শংকায় রয়েছেন শিশু সুলতানের পরিবার।
জানা গেছে, উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহগঞ্জ গ্রামের প্রবাসী ফরিদ উদ্দীনের বসতঘরে ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে প্রচন্ড বিস্ফোরণের ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু সুলতান গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটাস্থলে ছুটে গেলেও কোন আলামত জব্দ না করেই চলে যায়। তবে ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ভিডিও ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে আহত সুলতানের বড় ভাই মাহমুদ হাসান অভিযোগ করেছেন,, একই গ্রামের আমিন উদ্দীনের স্ত্রী সাফিয়া বেগমদের সাথে তাদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। ঘটনার দিন সকালে আত্মীয়তার সুযোগে সাফিয়া বেগম (৪৫) ও এক ছাত্র সাজু আহমেদ (১৮) তাদের বাসায় আসেন। অল্পক্ষণ বসে আবার চলে যান। এরপর একটি মামলার হাজিরা দিতে শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে ঘর তালা দিয়ে সিলেট আদালতে চলে আসেন প্রবাসীর স্ত্রী । সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরলে পাশের একরুমে তিনি পরিবারের কিছু কাজকর্ম করছিলেন শিশু সুলতানের মা। একপর্যায়ে পাশের রুমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে বাড়িঘর কেঁপ উঠে। এসময় তিনি এগিয়ে গেলে তার শিশু সন্তানকে রক্তাত্ব অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। তখন আশপাশের লোকজনও ভয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছিলেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু ঘটনার ১০টি পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি। যদিও উক্ত ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি অভিযোগ থানায় দাখিল করেছেন ওই সন্তানের মা সুফিয়া বেগম।
উল্লেখ্য , প্রবাসীর বড় দুই পুত্র সিলেট নগরীতে বসবাস করায় প্রায় সময়ই বাড়ি ফাঁকা থাকতো। সেই সুযোগে দুর্বৃত্তরা তাদের ক্ষতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। এদিকে ঘটনার সাথে একই গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে রাসেল রবিও জড়িত থাকার সন্দেহ করছে আহতের স্বজনরা। কিছুদিন আগে উক্ত রাসেল শিশুর মাকে হুমকি-ধামকি দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার এসআই মজম্মিলের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা ঘটেছে সত্য,তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাদিনী আমাদের কোন তথ্য দিতে পারেন নি। এছাড়া বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তদন্তকাজে বিলম্ব হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দু-একদিনের ভেতরেই আলামত সংগ্রহ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত থাকবে তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd