সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটওসমানী মেডিকেল রোডে অসহনীয় যানজট। ফলে রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়াতে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। সন্ধ্যা হতেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কাজলশাহ সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। আর এটা নিত্যদিনের সমস্যা। এ সমস্যার র মূলে রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়োগনিস্টিক সেন্টারগুলোর অবৈধ পার্কিং ও স্থানীয় চাঁদাবাজদের স্ট্যান্ড ব্যবসা।
কাজল শাহ-মধুশহীদ এলাকার এসব যানযট সৃষ্টি পিছনে যেমন সড়কে গড়ে ওঠা একাধিক সিএনজি অটোরিক্সা স্টান্ডকে দায়ী করেন ভোক্তভোগীরা। তেমনি এ বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে দায়ী করেন তারা।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সী গেইটের সামনে রয়েছে াবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। এখানে স্ট্যান্ড বসিয়ে সভাপতি আব্দুল কাদির ও সম্পাদক রফিক অটোরিক্সা প্রতি চাঁদা আদায় করে থাকেন। আদায়কৃত টাকা থেকে একটা অংশ এসএমপির ট্রাফিক পুলিশকেও দিয়ে ন তারা। যার ফলে পুলিশ স্ট্যান্ডবাজির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। অনুরূপ ওসমানী হাসপাতাল রোডের পপুলার মেডিকেল সেন্টারের সামনেও রয়েছে তাদের বসানো পৃথক একটি সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড। এখানে একজন ম্যানেজার রেখে কাদির ও রফিক সিএনজি প্রতি টাকা আদায় করে থাকে। এই দুই স্থানে সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড থাকার কারণে রোগীবাহী গাড়ি চলাচলে ও গাড়ি থামাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। এমনটি স্ট্যান্ডবাজরা রোগীবাহী গাড়ি থামাতে ও রোগী ওঠানামা করতে বাঁধা সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে ওসমানী হাসপাতাল রোডে গড়ে ওঠা বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিক ও ঢায়োগনিস্টিক সেন্টারগুলো এবং বিশেষ করে পপুলার মেডিকেল সেন্টার, আল-রাইয়ান হসপিটাল, ল্যাব এইড, মেডি এইড, ই.এন.টি হাসপাতাল, মেডি এইড ডায়াগনস্টিক, জালালাবাদ ক্লিনিক, পানসী বাজার, আই ফাউন্ডেশনকে যানজটের জন্য দায়ী করছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা। বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের নিজ স্বার্থে রাস্তায় যানযট সৃষ্টি করছে।
এসব প্রতিষ্ঠানে আসা গাড়ি গুলোর অবৈধ পার্কিংয়ের কারনে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর ডাক্তার ও স্টাফদের বহুতল বাণিজ্যিক ভবন থাকলেও তাদের নিজস্ব কোনো পার্কিং ব্যবস্থা নেই। ডাক্তার বহনকারী গাড়ি অথবা রোগীবাহী গাড়ি ইচ্ছামতো মেইন রোডে পার্কিং করে।
যার ফলে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখানো ও রোগীর সাথে বহনকারী যানবাহনগুলো যানজটের সৃষ্টি করে থাকে।
এব্যাপরে ওসমানী হাসপাতালের ইমার্জেসী গেইটের সামনের স্ট্যান্ড সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন- আমাদের এখানে যে স্ট্যান্ড আছে এটা সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন কামরানের আমল থেকে মেয়রের অনুমোদনে চলঠেছ তবে পপুলারের সামনের স্ট্যান্ডের কোন অনুমোদন নেই।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd