বিশ্বনাথের ইশাদ আলীর জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত: ৫:৩৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২১

বিশ্বনাথের ইশাদ আলীর জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: বিশ্বনাথ উপজেলার আলোচিত ইট ব্যবসায়ী ইশাদ আলীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় রবিবার (৮ আগস্ট) আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

ইশাদ আলী উপজেলার চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত তবারক আলীর পুত্র ও কালিগঞ্জ বাজারস্থ ‘মেসার্স আল-আমিন ব্রিকর্স’ এর সত্বাধিকারী। ইশাদ আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে গত ৩০ জুন সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন উপজেলার রগুপুর গ্রামের মদরিছ আলীর পুত্র ও ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন বিশ্বনাথ শাখার সভাপতি ফরিদ মিয়া। ওই মামলায় তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালত এর বিচারক হারুনুর রশিদের আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইশাদ আলীর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. খালেদ হোসেন জানান, প্রায় ১০ বৎসর যাবৎ ব্যবসায়িক লেনদেন থাকার সুবাদে অভিযুক্ত ইশাদ আলী ও তার পুত্র নাজমুল ইসলামের সাথে মামলার বাদী ফরিদ মিয়া সু-সম্পর্ক ও বিশ্বাস গড়ে উঠে।

তিনি ইট, কংক্রিট. বালু ও পাথরের ব্যবসায়ী হওয়ায় অভিযুক্তদের ইট ভাটা হতে প্রতিনিয়ত ইট ক্রয় করে বিক্রি করা অবস্থায় ২০১৫ সালে তার কাছ থেকে কাচা ইট পুড়ানোর কথা বলে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা নেন। তখন কথা ছিলো- ওই টাকা ইট ভাটায় ইট পুড়ানো কার্যক্রমের পুঁজি হিসেবে অভিযুক্তরা বিনিয়োগ করবেন এবং প্রতি বছর ফরিদ মিয়াকে নগদ টাকায় ব্যবসার সুবিধার্থে সর্ব প্রথম ইট ভাটা হতে পাকা ইট প্রদান করিবেন। এমতাবস্থায় যদি বাদী অভিযুক্তদের সাথে তার ব্যবসা বন্ধ করে দেন সেক্ষেত্রে অভিযুক্তরা বাদীর পাওনা টাকা (সাড়ে ৭ লাখ) পরিশোধ করবেন। কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করায় গত ৮জুন অভিযুক্তদের কাছে জামানতের পাওনা টাকা ফেরত চান বাদী ফরিদ মিয়া। তখন টাকা পরিশোধের জন্য এক সপ্তাহের সময় নেন অভিযুক্তরা। পবর্তীতের ১৬ জুন আবারও টাকা ফেরত চাইলে বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন অভিযুক্তরা। তারা সরলতা ও বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্তরা বাদীর সাথে প্রতারণ করেন। এছাড়া বাদী ফরিদ মিয়ার কাছ থেকে আরও ৭ লাখ টাকা কর্য নেন অভিযুক্ত ইশাদ আলী ও নাজমুল ইসলাম। ওই ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এন আই এ্ক্টের ১৩৮ ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন ফরিদ মিয়া।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..