সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫২ পূর্বাহ্ণ, মে ২৮, ২০২১
ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতক উপজেলা আ`লীগের প্রস্ততি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও ছৈলাআফজলাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান গয়াস আহমদের বিরুদ্ধে সৌদি প্রবাসীর ৩ কোটি টাকার দোকান ও বাসা ভাড়া নিয়ে কৌশলে প্রবাসীর তৈরি দোকান ঘর ও বাসা সরকার দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দখল করে নেয়ার এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই দলীয় নেতা কমীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিত্রিুয়া ও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে ফেইসবুকে।
জানা যায়,উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউপির লাকেশ্বর বাজারে দোকান ও তিন তলা বিল্ডিং বাসা গত ২০১৮ সালে ১ ,জুলাই থেকে ২০২০ সালে ডিসেম্বর পযন্ত একটি লিখিত চুক্তি করে দোকান ও বাসা ভাড়া নেন। প্রতি মাসে দোকান ও বাসা ভাড়া ১১ হাজার টাকা ধাষ্য করে সৌদি প্রবাসী দিলোয়ার হোসেনের পুত্র এনামুল হকের কাছ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ দোকান ও তিন তলা বাসা ভাড়া নেন। প্রতিমাসে ৩০ তারিখ মধ্যে দোকান বাসা ভাড়া পরিশোধ করবেন বলে চুক্তি পত্রে উল্লেখ্য করা হয়।
গত ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে তার সঙ্গে চুক্তি মেয়াদ শেষ হলে ও মেয়াদের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান তার দোকান বাসা ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় সৌদি আবর থেকে দিলোয়ার হোসেন দেশে আসে। গত ২৪ এপ্রিল বিকালে তার দোকান ও বাসা গিয়ে ভাড়াটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সঙ্গে দেখা করে তার দোকান ও বাসা ভাড়ার বকেয়া প্রায় তিন লাখ ৮৫ হাজার পরিশোধ তাগিদ দেন। পরে ৫ মাসে ভাড়া গোবিন্দগঞ্জ কৃষি ব্যাংক শাখার একাউন্ট হিসাব (নম্বাব ১২২৭)ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ তার পুত্র এনামুল হকের নামে পৃথক পৃথক চেক প্রদান করেছে গত ৯ মার্চ ২১ সালে। তার দোকান ও বাসার ভাড়াটিয়া মেয়াদ শেষ হলে ও প্রায় তিন লাখ ৩০হাজার বাসা ভাড়া তার কাছে চাইতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন সৌদি প্রবাসী দিলোয়ার হোসেন।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউপির লাকেশ্বর গ্রামে অাফতাবুর রহমানের পুত্র সৌদি প্রবাসী দিলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ইউপি চেয়াম্যান গয়াস আহমদকে প্রধান আসামী করে সাবেক ইউপি সচিব বকুল মালাকার ও বিজয় রায় নামে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক,জেলা পুলিশ সুপার,উপজেলা নিবাহী কর্মকতা,র্যাব সুনামগঞ্জ ৯,সহকারি ভুমি কমিশনার ও ছাতক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ইউপি পরিষদের ভবন না থাকায় লাকেশ্বর বাজারে একটি দোকান ও তিন তলা বিশিষ্ট একটি ভবন সুকৌলে প্রায় ৩ কোটি টাকা বাসা ও সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে । এ দোকান ও ভাড়াটিয়া বাসা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ তার ব্যক্তিগত অফিস করে ইউপি পরিষদের সকল কমকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এখন সৌদি প্রবাসির স্ব পবিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ভোগছেন বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করে আসছে।
এব্যাপারে ইউনিয়নবাসী একাধিক ব্যক্তি জানান,উপজেলা আ`লীগ প্রস্ততি কমিটির নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ একজন দুনীতিবাজ,সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প আত্নসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছে ধান্দাবাজি দখলবাজি থেকে শুরু করে জিরো থেকে চেয়ারম্যান সুবাদে রাতারাতি নানা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন বলে ও অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সৌদি প্রবাসি দিলোয়ার হোসেন এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ভাড়াটিয়া সেজে আমার কষ্টাজিত শ্রমের তৈরি দোকান ঘর ও তিন তলা বাসা ভাড়া পরিশোধ না করে কৌশলে দখল করে নিয়েছেন আ`লীগে উপজেলা প্রস্ততি কমিটির যুন্ম আহবায়ক ও ছৈলা আফজলাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ। ভাড়াটিয়ার কাছে ভাড়া চাইতে গিয়ে দোকান ও বাসার মালিক ইউপি চেয়ারম্যন ও তার সহযোগিদের হাতে হামলা শিকার হচ্ছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি কাওসার আল মামুন জানান,এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার শাশুড়ের দোকান ও বাসা ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রবেশ করেন। এখন ভাড়া না দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দখল করে নেয়ার চেষ্টা করছে।
অভিযুক্ত আ`লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার সাথে একাধিক যোগাযোগ করলে ও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান গয়াস আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাপ্তির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বকেয়া টাকা পরিশোধ করে বিরোধ নিস্পতি করবেন ইউপি চেয়ারম্যান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd