২০১৯ সালে সিলেটসহ সারাদেশে রেলে ৪২১ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২০

২০১৯ সালে সিলেটসহ সারাদেশে রেলে ৪২১ জনের প্রাণহানি

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সদ্য বিদায় নেয়া ২০১৯ সালে ৩৯৩টি রেল দুর্ঘটনায় ৮৯ জন নারী ও ৪৬ শিশুসহ মোট ৪২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এসব দুর্ঘটনায় চারজন নারী ও ৩৩ শিশুসহ ৩৬৬ জন আহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন রেলপথে এসব প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটে।

Manual5 Ad Code

ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) ‘সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯’-এ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

Manual6 Ad Code

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের ২৪টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং ৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এসব হতাহতের ঘটনা একাধিক ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ও ট্রেন লাইনচ্যুতির চেয়ে রেলক্রসিং ও রেললাইন পারাপারের সময় বেশি ঘটেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৩৯টি রেল দুর্ঘটনায় ১০ জন নারী ও ৪ শিশুসহ ৩৯ জনের মৃত্যু এবং দুই শিশুসহ আটজন আহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৪৬টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ১০ ও ৪ জন। এছাড়া ওই মাসে এক নারী ও ১৩ শিশুসহ ২২ জন আহত হয়েছে।

মার্চে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৫টি। এতে ছয়জন নারী ও চার শিশুসহ ৩৮ জনের মৃত্যু এবং এক শিশুসহ সাতজন আহত হয়েছে। এপ্রিলে ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু ও ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নারী ও তিন শিশু রয়েছে। এছাড়া আহতের তালিকায় দুই শিশু রয়েছে। মে মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩০টি, এতে আটজন নারী ও তিন শিশুসহ ৩০ জনের প্রাণহানি এবং তিনজন আহত হয়েছে।

জুনে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা যথাক্রমে ২৯ ও ৩৩; তাদের মধ্যে ৯ জন নারী ও তিন শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ১০০ জন; যারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। জুলাইয়ে ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৯ জন নারী ও সাত শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু এবং এক নারী ও এক শিশুসহ ৪৩ জন আহত হয়েছে। আগস্টে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা যথাক্রমে ২৮ ও ২৯ জন। তাদের মধ্যে সাতজন নারী ও চার শিশু রয়েছে। এছাড়া ওই মাসে আহত হয়েছে আরও ১০ জন; যারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ।

Manual5 Ad Code

সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৩টি, এতে ৯ জন নারী ও দুই শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যু এবং দুই শিশুসহ সাতজন আহত হয়েছে। অক্টোবরে ৩৯টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাদের মধ্যে তিনজন নারী ও তিন শিশু রয়েছে। এছাড়া এক নারী ও ১১ শিশুসহ আহত হয়েছে আরও ৩৮ জন। নভেম্বরে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৪টি, এতে ১৪ জন নারী ও ৯ শিশুসহ ৬৮ জনের মৃত্যু এবং এক নারী ও এক শিশুসহ ১২২ জন আহত হয়েছে।

Manual4 Ad Code

সর্বশেষ ডিসেম্বরে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ ও ২৭ জন। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও পাঁচ শিশু রয়েছে। ওই মাসে আহত হয়েছে আরও ৯ জন, যারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ।

এসসিআরএফ-এর সভাপতি আশীষ কুমার দে বলেছেন, তাদের পর্যবেক্ষণে দুর্ঘটনার জন্য কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. সড়ক যোগাযোগের স্বার্থে বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত ও অপরিকল্পিত রেলক্রসিং নির্মাণ।
২. অধিকাংশ রেলক্রসিংয়ে নিজস্ব পাহারাদার না থাকা।
৩. রেলপথ পারাপারের সময় পথচারীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার।
৪. বেশির ভাগ লোকোমোটিভের (রেলইঞ্জিন) অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হওয়া।
৫. ত্রুটিপূর্ণ সিগনালিং ব্যবস্থা ও দুর্বল অবকাঠামো।
৬. চালকসহ কারিগরিকর্মীদের অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতা এবং
৭. প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকট।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..