পরিবারের অমতে দু’দফা বিয়ে করে লাশ হলেন লাইজু

প্রকাশিত: ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২০

পরিবারের অমতে দু’দফা বিয়ে করে লাশ হলেন লাইজু

Manual5 Ad Code

ভোলার সদর উপজেলায় পরিবারের অমতে দু’দফায় বিয়ে করে লাশ হলেন গৃহবধূ লাইজু আক্তার (১৮)। যৌতুকের দায়ে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে স্বামী তানজিল হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে নিহত লাইজু আক্তারের বড় ভাই ইসমাইল শিকদার বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- নিহত লাইজু আক্তারের স্বামী মো. তানজিল, শ্বশুর মো. তরিকুল ইসলাম, শাশুড়ি হাসিনা, ননদ তানিয়া ও মিতু, ভাসুর তানভির ও তার স্ত্রী।

Manual6 Ad Code

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে লাইজুর শ্বশুরবাড়ির কাজের মহিলা ময়ফুল বেগমের কাছ থেকে জানা গেছে; বিয়ের পর থেকে লাইজুকে বিভিন্ন সময় পরিবারের সদস্যরা মারধর করত।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, লাইজু কিভাবে মারা গেছে এটি এখন আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা এ ঘটনায় গভীরভাবে তদন্ত করছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে।

মামলার বাদী ও গৃহবধূ লাইজুর বড় ভাই ইসমাইল শিকদার জানান, আড়াই বছর আগে লাইজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তানজিলের। বিষয়টি লাইজু আমাদের বললে আমরা তানজিল ও তার পরিবার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেই।

ওই সময় আমরা জানতে পারি তানজিল মাদকাসক্ত। এ জন্য আমরা বিয়েতে রাজি হয়নি। এ জন্য দুই বছর আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করে। বিয়ের পর লাইজুকে তানজিল তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। আমরা বোনের শান্তির কথা চিন্তা করে বিয়ে মেনে নেই।

কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তানজিল ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে লাইজুকে মারধর করত। লাইজু আমাদের জানালে আমরা লাইজুকে আমাদের বাড়ি নিয়ে আসি। গত ৪-৫ মাস আগে লাইজু তানজিলকে তালাক দেয়।

Manual4 Ad Code

তিনি আরও জানান, তালাকের কিছুদিন পর তানজিল আবার লাইজুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ শুরু করে। এ পর্যায়ে লাইজুকে বিভিন্ন রকম মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আবার কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে তানজিলের বাড়িতে নিয়ে যায়।

Manual4 Ad Code

পরে আমরা জানতে পেরে লাইজুর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে আমরা আবার জানতে পারি লাইজুকে আবারও নির্যাতন শুরু করে তানজিল ও তার পরিবার। লাইজুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ইসমাইল। এ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ভোলা মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন জানান, গৃহবধূ লাইজু মারা যাওয়ার পর আসামিরা পালিয়েছে। তাদের আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Manual6 Ad Code

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তুলুতালি এলাকার তরিকুল ইসলামের ঘর থেকে লাইজু আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..