সিলেট ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সাইন্সেস (বিআইএইচএস) জেনারেল হাসপাতালের প্রায় দুই শতাধিক চিকিৎসক-নার্সকে ‘বিধি বহির্ভূত’ চাকরিচ্যুতির অভিযোগ উঠেছে। দেশের শীষস্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে চাকরিচ্যুতদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের ‘চরম’ স্বেচ্ছাচারিতায় তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা তাদের অভিযাগের বিষয়ে সংসদের সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির কাছে আবেদন করেছিল, যা সেখানে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এছাড়া তারা এই বিষয়ে আদালতে মামলা করেছি, তাও নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিআইএইচএস হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগের চাকরিচ্যুত চিকিৎসক এম মোয়াজ্জেম হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, কর্তৃপক্ষ কোনোরূপ কারণ দর্শানো বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আকস্মিক নোটিসে আমাদের চাকরি থেকে অপসারণ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাকরি হতে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করেছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত অযৌক্তিক, অমানবিক এবং বিধি বহির্ভূতভাবে পর্যায়ক্রমে প্রায় ২০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে। এদের মধ্যে অনেকেরই চাকরিকাল ২০ থেকে ২২ বছর। ২০১৭ সালে এ হাসপাতালে পরিচালক হিসেবে মো. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার স্বেচ্ছাচারিতায় প্রতিষ্ঠানটির ওইসব চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা হয় বলে অভিযোগ করেন ডা. মোয়াজ্জেম।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিচালক প্রতিষ্ঠানটিকে একান্ত ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনা করছেন। এমনকি বর্তমান পরিচালক বিগত ম্যানেজমেন্টের নিয়োগকৃত পুরাতন সকল কর্মীদের অপসারণ করবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। স্বেচ্ছাচারী পরিচালক তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অত্যন্ত অমানবিক, অযৌক্তিক, অপরিপক্ক ও খামখেয়ালিভাবে তার এজেন্ডা বায়স্তবায়ন করে চলেছেন।
পরিচালক আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া ডায়বেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের আত্মীয় হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমিতির কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি বলে জানান মোয়াজ্জেম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত হওয়া হাসপাতলের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ, জুনিয়র কর্মকর্তা আবুল কাশেম খান, কনসালটেন্ট (ফিজিওথেরাপি) মো. তৌফিক ইমামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd