সিলেটের পাথর কোয়ারী বন্ধ: মানুষের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

সিলেটের পাথর কোয়ারী বন্ধ: মানুষের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেটের পাথর কোয়ারী এলাকায় দীর্ঘ দিন থেকে কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। শ্রমিকরা বেলচা, টুকরীসহ প্রতিদিন কোয়ারী এলাকায় কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আসলেও সারাদিন অপেক্ষা করে কোথাও কাজ না জুটায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারী ভোলাগঞ্জ, জাফলং, বিছনাকান্দি ও শ্রীপুরসহ সব কয়টি কোয়ারী এলাকার কয়েক লক্ষ শ্রমিকের বর্তমান চিত্র। কোয়ারী সচল থাকলে সিলেটসহ দেশের ৩-৪ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে নিজের জীবন মান উন্নয়নসহ দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে আরো মজবুত করেন।

শুধু শ্রমিক নয়, বেকায়দায় পড়েছেন এবার ব্যবসায়ীরাও। দীর্ঘ দিন থেকে কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পাথরের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বেকার হয়ে পড়েছেন। বন্ধ হতে চলেছে জাফলং, ধূপাগুল, ভোলাগঞ্জসহ উত্তর সিলেটের ক্রাসিং জোন এলাকা। কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় ওই সব ক্রাসার এলাকা শ্রমিক শূন্য হয়ে পড়েছে। পাথর
সংশ্লিষ্ট পেশা ছাড়া অন্য কোন পেশা জানা না থাকায় সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এলাকার পাথর শ্রমিক পরিবারে চরম অভাব দেখা দিয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন হত দরিদ্র শ্রমিকেরা।

ইতিমধ্যে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়ার দাবিতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরা জড়ো হয়ে আন্দোলন করেছেন। এছাড়া জাফলং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিছনাকান্দি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ভোলাগঞ্জ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও শ্রীপুর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্থরের শ্রমিকেরা পাথর কোয়ারী সচলের দাবিতে পৃথক পৃথক মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন।

বিভিন্ন মানববন্ধন কর্মসূচীতে শ্রমিকেরা ‌‘ভাত চাই না হলে কাজ চাই’ এই শ্লোগানে দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

এ ব্যাপারে জাফলং পাথর কোয়ারী এলাকার ব্যবসায়ী মিনহাজ উদ্দিন বলেন, পাথর উত্তোল বন্ধ থাকার কারণে কোয়ারী এলাকার শ্রমিকদের মধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। যে কারণে কর্মহীন মানুষের হাহাকার পরিলক্ষিত হচ্ছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, বিদ্যুৎ জালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ইজারা বিহীন কোয়ারী এবং যান্ত্রীক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাফলং, বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারী বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পাথর কোয়ারী বন্ধ রাখতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, পাথর শ্রমিকের মানবেতর জীবন বিবেচনা করে পাথর কোয়ারীগুলো জরুরী ভিত্তিতে খুলে দেওয়ার জন্য।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..