সিলেট ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
কিডনী জনিত সমস্যায় প্রায় বছর খানেক বিছানাই সঙ্গী গোলাপগঞ্জের শামীম ড্রাইভারের। সে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির উপর বারকোট গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল নূর মিয়ার পুত্র। সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে যা উপার্জন করতেন তা দিয়েই পরিবারের লোকেদের মুখের আহার জোগাতেন তিনি। পরিবারের একমাত্র যোগানদাতা শামীমের ৩মেয়ে ও ১ছেলে। এর মধ্যে বড় মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে, মেজো মেয়ে ৯ম শ্রেণীতে, ছোট মেয়ে ৪র্থ শ্রেনীতে এবং ছেলে পড়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে। কিন্তু বর্তমানে শামীমের অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা খরচের পাশাপাশি সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালানো ও সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার স্ত্রী পারভীন সুলতানার।
চলতি বছরের জুন মাসে পেটে ব্যথা ও পেট ফাপা সংক্রান্ত অসুস্থার কারনে ডাক্তারের পরামর্শ নেন তিনি। বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক পরীক্ষার পর তার কিডনীতে পাথর ধরা পরে। এর পর থেকেই ধীরে ধীরে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত জুলাই মাসের ৭ তারিখে চিকিৎসকের পরামর্শে ওসমানী মেডিকেলে অপারেশন করান। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ঔষধ খাওয়ার পরের শামীমের অবস্থার উন্নতি না হলে তিনি সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে অন্য এক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। সে চিকিৎসক পুনরায় অপারেশনের পরামর্শ দেন। টাকার অভাবে শামীমের পরিবার অপারেশন করাতে পারছেন না এমন খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জের কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ পরিবেশন করা হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে যায়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে শামীমের বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান এবং তাকে চিকিৎসার জন্য ৫হাজার টাকা দেন। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা জোগাড় করেন শামীমের পরিবার। পরে সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখে ও অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখে পৃথক পৃথক অপারেশন করানো হন শামীমকে। অপারেশনের পর শামীমের বিপদ কেটে গেছে বলে আশ্বস্ত করেন চিকিৎসকরা এবং তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু এর ঠিক ৪দিন পর শামীমের অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। তাৎক্ষনিক আবারো চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলে সেই চিকিৎসক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজী বিভাগে গিয়ে পরামর্শ নিতে বলেন। ওসমানী মেডিকেলের ইউরোলজী বিভাগের চিকিৎসকরা পুনরায় শামীমের শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং বলেন, এখনো তার রোগমুক্তি হয়নি বরং রোগের কারণে শামীমের শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে। এমতাবস্থায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শামীমকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করে দ্রæত চিকিৎসা সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে শামীমের চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এমতাবস্থায় নিরুপায় শামীমের পরিবার। তাই শামীমকে বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য সকলকে এগিয়ে এসে সাধ্যমত আর্থিক সহযোগীতা করতে সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শামীমের স্ত্রী পারভীন সুলতানা। বিকাশ নম্বর -০১৭৬৪-৫৪৫৬৪৯ (শামীমের স্ত্রী)।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd