সিলেট ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা হত্যাকাণ্ডে তার সাবেক প্রেমিক সৈকতে হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত পৌনে নটায় তাকে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। এর আগে, সিদ্ধেশ্বরী রোডে আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে রুম্পার লাশ পাওয়া যায় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি দক্ষিণ বিভাগ) উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজিব আল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, তাকে আটক করা হয়নি। রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
থেকে আজ শনিবার ফের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কমসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন শিক্ষকরাও। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রুম্পা আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে আমরা জানতে চাই। হত্যা করা হলে বিচারের নিশ্চয়তা চাই।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ সদরের বিজয়নগরে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে রুম্পাকে দাফন করা হয়।
হবিগঞ্জে কর্মরত রুম্পার বাবা ইন্সপেক্টর রোকনউদ্দিন বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে রুম্পাকে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু এভাবে তার মৃত্যু হবে আমি ভাবতে পারিনি। নুসরাত হত্যার মামলার মতো দ্রুত বিচার দাবি করেন তিনি। রুম্পার চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, রুম্পাকে হত্যা করা হয়েছে। রুম্পা পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করত। মা-ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন শান্তিবাগের একটি ফ্ল্যাটে। বাসা থেকে ৪-৫ মিনিট দূরত্বের একটি ফ্ল্যাটে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতেন। বুধবার বিকালে বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে যান।
সন্ধ্যায় বাসার নিচে গিয়ে রুম্পা তার মাকে ফোনে বলেন, চাচাতো ভাইকে দিয়ে বাসার নিচে একজোড়া স্যান্ডেল পাঠাতে। ১০ বছরের চাচাতো ভাই একজোড়া স্যান্ডেল নিয়ে নিচে নামে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, আংটি, কানের দুল, হাতঘড়ি, হিল জুতা ও টাকাসহ ব্যাগ চাচাতো ভাইয়ের কাছে দিয়ে বলেন, ‘আম্মুকে বলিস আপু একটু পরে বাসায় ফিরবে।’ রাতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে রুম্পার মা-সহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে রুম্পাকে শনাক্ত করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ পড়ে ছিল দুটি ভবনের পেছনে এবং একটি ভবনের সামনের গলিতে। তিনটি ভবনের যে কোনো একটি থেকে তাকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ তাদের জানিয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd