সিলেট ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
মন্তব্য প্রতিবেদক :: আইন যেমন আছে তার বাইরে নীতি বলেও একটি বিষয় আছে। সংবাদমাধ্যমে আইনের পাশাপাশি নির্দিষ্ট নীতিও মানা হয়। সেই নীতির জন্যই কোনও কোনও সংবাদ প্রকাশ করা হয় না।যেমন কাক কাকের মাংস খায় না বলেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয় না, কিন্তু তিনি সাংবাদিকতা পেশার বাইরে বিশেষ করে রাজনীতি করলে সেই সংবাদ শিরোনামে এসে থাকে। এখন সিলেটে এর উল্টো চলছে। বর্তমানে কিছু অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে এক সাংবাদিক অরপ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সংবাদ করার জন্য বেফানা।
তবে আর পাঁচটি পেশার সঙ্গে সাংবাদিকতার পার্থক্য রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে পাঠক ও দর্শকরা নিরপেক্ষতা আশা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যদি তাঁদের মনে বদ্ধমূল ধারনা হয় যে সংবাদমাধ্যম কোনও একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করছে তা হলে সংবাদমাধ্যমের প্রতি তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা কমবে এবং সাংবাদিকতা পেশার প্রতি তাঁরা বীতশ্রদ্ধ হবেন।
এক প্রবীণ সাংবাদিক কয়েকদিন আগে তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শুরুর একটি ঘটনা বলছিলেন তিনি বহুদিন এই পেশায় নেই এবং এখন অবসরপ্রাপ্ত, তিনি বেশ কয়েকটি বইয়ের লেখকও। তাঁর কথায়, “আমি তখন হয়তো কয়েক বছর সাংবাদিকতা করছি। একটি জায়গায় গিয়ে নিজের ও সংবাদপত্রের পরিচয় দিই, তখনই সকলে উঠে দাঁড়ান। তাতে আমি লজ্জিত হয়েছিলাম, তবে গর্বিতও হয়েছিলাম এ কথা ভেবে যে আমি যে পেশায় কাজ করি সেই পেশার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা দেখে। এখনকার সাংবাদিকদের আর সে ভাবে সম্মানিত হতে দেখি না। এখন অনেককেই বলতে শুনেছি সাংবাদিকরা সংবাদ ছেপে নয়, সংবাদ চেপে খান।”
প্রতিযোগিতার বাজারে সাংবাদিকদের দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হয়। সে জন্য তাঁরা নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগ সব সময় পান না। তবে তাঁরা নিজের পেশার প্রতি কতটা সুবিচার করেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। কেন সে কথা জানানোর এটাই উপযুক্ত জায়গা।
কিন্তু সিলেটের সাংবাদিকতার বাজারে যে প্রতিযোগিতা দাঁড়িয়েছে সেই হচ্ছে এক সাংবাদিক অন্য সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুই এক লাইন লেখা ফেসবুকে পোষ্ট করলেই তিনি নিজেকে প্রতিষ্টিত মনে করেন। আর এই প্রতিযোগিতার মূল কারণ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd