কোম্পানীগঞ্জে কালা-জাহাঙ্গীর বাহিনীর হামলার শিকার জেলা আ.লীগ

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯

কোম্পানীগঞ্জে কালা-জাহাঙ্গীর বাহিনীর  হামলার শিকার জেলা আ.লীগ

স্টাফ রিপোর্টার :: কোম্পানীগঞ্জে কালা-জাহাঙ্গীর বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আ.লীগ কর্তৃক মনোনীত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে আ.লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ হামলা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গ্র“পের সন্ত্রাসীরা।

জানা যায়, বর্ধিত সভায় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী- সভার শুরুতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ভোট না সিলেকশনে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে এ নিয়ে মতামত চান। প্রথমে সিলেকশনে মতামত চাইলে মাত্র ৬/৭ জন আ.লীগ নেতা সাড়া দেন। পরে যখন ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্ধারণের মতামত নেওয়া হয় তখন বাকী সব নেতৃবৃন্দ এক যোগে সাড়া দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোটের পক্ষে মতামতের এ অবস্থা দেখে আতকে উঠে নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আপ্তাব আলী কালা ও জাহ্ঙ্গাীর আলম। তৃণমূল নেতৃবৃন্দের ভোটে তাদের পরাজয় ঘটবে এটা নিশ্চিত জেনে তাদের গ্র“পের নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। সভায় চেয়ার ভাংচুর ও জেলা নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে হামলাকরীরা। তৃণমূল বিচ্ছিন্ন কালা ও জাহাঙ্গীর বাহিনী ভোট দিতে আসা বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের উপরও হামলার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. লুৎফুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. মাহফুজুর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, সদস্য এড. আজমল আলী সহ জেলা ও উপজেলা আ.লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারণে গোপন ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালার নেতৃত্বে চেয়ার ভাংচুর ও ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। তখন সভাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, সভা সুন্দরভাবে চলছিল। যখন মতামত চাওয়া হয় তখনই আপ্তাব আলী কালা ও জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা করে। সে সময় ব্যাপক চেয়ার ভাংচুর ও ছোড়াছুড়ি হয়।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে পুলিশ সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হলে বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারতো। হামলার সময় বেশ কিছু চেয়ার ভাংচুর ও ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। তবে সেখানে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সভায় আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম প্রস্তাবিত হয়। প্রস্তাবিত প্রার্থীরা হলেন- জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, ১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী শামীম আহমদ, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াকুব আলী, আ.লীগ নেতা মজির উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম প্রস্তাবিত হয়। প্রস্তাবিত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক, মতিলাল ঠাকুর, যুবলীগ নেতা আব্দুর রহমান।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..