৭৪ লাখ টাকার কাজ তিন দিনও টিকছে না

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯

৭৪ লাখ টাকার কাজ তিন দিনও টিকছে না

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মেলান্দহ উপজেলায় একটি তিন কিলোমিটার রাস্তার (সাধুপুর বাজার-চরপলিশা মোড়) মেরামতকাজ তিন দিনও টিকছে না। কার্পেটিংয়ের পাথর খসে খসে ছড়িয়ে পড়ছে।

Manual1 Ad Code

জানা গেছে, জামালপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নাধীন মেলান্দহের সাধুপুর বাজার থেকে চরপলিশা মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কার্যাদেশ পান জামালপুর শহরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিসার এন্ক্ষারপ্রাইজের ঠিকাদার মো. জনি। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটির চুক্তি মূল্য ৭৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৩ টাকা। কাজটি শুরু হয়েছে গত ১১ নভেম্বর। উপজেলা সদরের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুটি ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষের জন্য রাস্তাটি দীর্ঘদিন আগে পাকা করা হয়েছিল। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে চলতি অর্থবছরে এলজিইডি রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় মেরামতের উদ্যোগ নেয়। দরপত্রে শর্ত রয়েছে, রাস্তার ভাঙা স্থানগুলো ভরাট করে নতুন কার্পেটিং ও দুই পাশের কয়েকটি স্থানে গাইডওয়াল নির্মাণ করতে হবে।

Manual2 Ad Code

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চরপলিশায় গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার কার্পেটিংয়ের পাথর খসে খসে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক স্থানে কার্পেটিং উঠে আগের ভাঙা রাস্তা বেরিয়ে পড়ছে। নিম্নমানের বিটুমিন ও পাথর ব্যবহারের কারণেই রাস্তা এমন বেহাল বলে অভিযোগ। কয়েকটি স্থানে গাইডওয়াল না করেই রাস্তার কাজ করা হয়েছে। ফলে আসছে বর্ষায় ওইসব স্থানে রাস্তা ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো রাস্তা ঘুরে একই চিত্র পাওয়া গেছে।

Manual5 Ad Code

ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করার অনুরোধ করলে অন্য এলাকার প্রভাবশালী যুবকদের এনে গ্রামবাসীকে হুমকি দিয়েছে। জালিয়াতির কারণে আমরা গ্রামবাসী একত্র হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। গত বুধবার জেলা প্রশাসক, এলজিইডির জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও মেলান্দহ উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে রাস্তার কাজের অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমরা তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি রাস্তাটি ভালোভাবে পাকা করে দিতে দাবি জানিয়েছি।’

ঠিকাদার মো. জনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রাস্তার কাজের কিছু অংশে সামান্য ত্রুটি ধরা পড়েছে, তা  ফের মেরামত করে দেওয়া হবে।’

Manual7 Ad Code

জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তাটির কাজে অনিয়মের বিষয়ে বুধবার এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে মেলান্দহ উপজেলা প্রকৌশলীসহ দুজন সহকারী প্রকৌশলীকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। কাজে ত্রুটির প্রমাণ পাওয়া গেলে ঠিকাদারকে দিয়ে ফের ভালোমতো কাজ করিয়ে নেওয়া হবে। কাজের শর্ত অনুযায়ী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..