সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: কানাইঘাটে পরিবেশ বিনষ্ট করে পাহাড় টিলা কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া অবৈধ ভাবে টিলা দখল করে পাকা দালান নির্মাণ করতে প্রবাসী কফিল আহমদ ও তার ভাই আমিন আহমদ জোর পুর্বক পাহাড় টিলা কেটে পরিবেশ বিনষ্ট করছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউপির কেউটি হাওর গ্রামের আমিন আহমদ ও তার ভাই প্রবাসী কফিল আহমদ পরিবেশ বিনষ্টকারী এস্কেবেটর ও ফেলোডার দিয়ে তার বাড়ীর সামনে অবৈধভাবে টিলা দখল করে উক্ত টিলা কেটে পরিবেশ ধ্বংশ করছে। এনিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য লোকজন পরিবেশ রক্ষার জন্য পাহাড় টিলা কাটা বন্ধ করতে আমিন আহমদকে বাধাঁ নিষেধ প্রদান করেন। এতে সে কারও কথার তোয়াক্ষা না করে টিলা কেটে পরিবেশ বিনষ্ট করছে। এতে পাহাড় টিলার উপরে বসবাসরত কয়েকটি নিরীহ পরিবার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আমি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে আমিন আহমদকে টিলা কাটা বন্ধ করতে নিষেধ বাধাঁ দিলেও সে কার কথার তোয়াক্ষা করছেনা। তিনি বলেন, পরিবেশ বিনষ্ট করে টিলা কাটার বিষয়ে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে আমাদের পরিষদের পক্ষথেকে আমরা সবকিছু করতে বাধ্য আছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়েছ আহমদ বলেন, এভাবে যন্ত্রপাতি দিয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া টিলা কাটা দেখে আমি অবাক হয়েছি। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের গন্যমান্য লোকজন নিয়ে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে টিলা কাটা বন্ধ করার কথা বলার পর আমিন আহমদ নানা টালবাহানা করছে। সে কারো কথায় কান না দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে। কানাইঘাট উপজেলা ভূমি অফিসের মন্তাজগঞ্জ শাখার তহশিলদার সাহাব উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে লোকমূখে শুনেছি। আমি সরেজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে এবিষয়ে কিছু বলতে পারবো। কেউ অবৈধ ভাবে টিলা কাটলে, কিংবা পরিবেশ বিনষ্ট করলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে আলাপকালে আমিন আহমদ বলেন, উক্ত টিলাটি আমার ভাই প্রবাসী কফিল আহমদ ক্রয় করেছে। এখানে সে একটি পাকা দালান ঘর নির্মাণ করবে। তাই টিলার উপরের গাছ-গাছালী কেটে আমি জায়গাটি পরিস্কার করে দিচ্ছি। এছাড়া টিলার মাটি না কাটলে টিলাটি সমতল হবেনা। তাই এস্কেবেটর ও ফেলোডার দিয়ে মাটি কাটাচ্ছি। তা ছাড়া স্থানীয় প্রায় ১০/১৫ লেভার দিয়ে মাটির কাজ করাচ্ছি। এবিষয়ে আইনগত কোন বাধাঁ আছে বলে আমি মনে করিনা। টিলার উপরে বসবাসকারী ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমাদেরকে টিলার উপরে রেখে জোরপুর্বক ভাবে আমিন আহমদ ও প্রবাসী কফিল আহমদ টিলা কাটা শুরু করেছে। এতে আমরা নিরীহ ও অসহায় লোক। আমাদেরকে তারা নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের জায়গা দখল করে জোরপুর্বক টিলা কাটছে। এবিষয়ে আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সহ এলাকার গন্যমান্য লোকজনের কাছে বিচার দিয়েছি।
এদিকে টিলা কাটা বন্ধ করা সহ টিলা কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd