গোয়াইনঘাটে পাথর শ্রমিক পরিবারে হাহাকার : দেখার কেউ নেই

প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০১৯

গোয়াইনঘাটে পাথর শ্রমিক পরিবারে হাহাকার : দেখার কেউ নেই

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: দেশের অন্যতম বৃহৎ পাথর কোয়ারী সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং। দেশের নির্মাণকাজের সিংহ ভাগ পাথরের চাহিদা জাফলং পাথর কোয়ারী মিটিয়ে থাকে। জাফলং শুধু পাথর কোয়ারী নয়। পাথরকে কেন্দ্র করে এ স্হানটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে আলাদা ভাবে পৃথিবির কাছে নিজের পরিচিতি তুলে ধরেছে। ইতিমধ্যে সরকার জাফলং এলাকাকে ইকোলজিকেল ক্রিটিকেল এরিয়া (ইসিএ) হিসেবে ঘোষনা করেছে। ফলে জাফলং পাথর কোয়ারী থেকে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে সরকারি বাধাঁ নিষেধ রয়েছে। অপরদিকে জাফলং পাথর কোয়ারীর উপর নির্ভরশীল গোয়াইনঘাট,জৈন্তাপুর উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার লক্ষাধিক শ্রমিক। মূলত গোয়াইনঘাট,কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলাবাসীর পাথর কোয়ারী ছাড়া অন্য কোন কর্মসংস্তানের ব্যবস্থা নেই। এই তিন উপজেলার সাধারণ শ্রমিক কার্তিক মাস থেকে কোয়ারীতে কাজ শুরুকরেন এবং ফাল্গুন মাস পর্যন্ত কাজ করেন কোয়ারীতে। কিন্তু জাফলং এলাকাকে ইকোলজিকেল ক্রিটিকেল এরিয়া (ইসিএ) ঘোষনা করার পর এখানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও পাথর উত্তোলনে বাধাঁ দিচ্ছে স্হানিয় প্রশাসন। দীর্ঘদিন থেকে উক্ত কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন করতে না পেরে পাথর শ্রমিক পরিবারে হাহাকার দেখা দিয়েছে। অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে পাথর শ্রমিকদের জীবন যাপন। তাছাড়া কোয়ারির পাথরের উপর নির্ভর কয়েক শতাধিক ক্রাশার মিল ও বন্দের উপক্রম দেখা দিয়েছে।অন্যদিকে পাথর কোয়ারি বন্দের প্রভাব পড়েছে তিন উপজেলার প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্টানে। সনাতন (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন পাথর শ্রমিক, পাথর ব্যবসায়ী ও পাথরের সাথে সম্পৃক্তরা।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..