সিলেট ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:বড়লেখায় গেল ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পৌর শহরের সিংহগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উপজেলা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা হাসনাত আহমদ শাকিল (২৫), দেলোয়ার হোসেন(২২), জাহাঙ্গির আলম (১৮), নিবলু দাস (২৩) ও খালেদ মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২ জানুয়ারি) সকাল-দুপুর পর্যন্ত পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন বড়লেখা উপজেলা শাখা ও তার নিজ এলাকা পাখিয়ালার সচেতন বাসিন্দারা। গ্রেপ্তার হওয়া হাসনাত আহমদ শাকিলকে নিরপরাধ দাবি করে তারা অভিলম্বে তার মুক্তির দাবি করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি ধনঞ্জয় দে, সাধারণ সম্পাদক বাধন ইসলাম, ছাত্রইউনিয়ন সভাপতি তন্ময় দাস, সাধারণ সম্পাদক নয়ন ইসলাম, পাখিয়ালা গ্রামের মুরব্বি আফতাব আহমদ, খলিলুর রহমান প্রমুখ।
ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাকিলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক। তিনি বলেন, শাকিলসহ গ্রেপ্তার হওয়ায় সকলেই ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাদের বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার কারাগারে পাঠানো হবে।
জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বড়লেখা উপজেলার সিংহগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট হাসনাত আহমদ শাকিলের সাথে কথাকাটাকাটি হয় আওয়ামী লীগ নেতা টনি গংদের সাথে। এক পর্যায়ে তারা শাকিলকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এরপর তারা ব্যালট বক্স ছিনতাই করার চেষ্টা করলে শাকিল ও বিএনপির অন্য এজেন্টরা তাতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা সংষর্ষে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় বিপ্লব দেবনাথ নামের এক যুবক ও কাউন্সিলর রেজাউল করিমের ছোটভাই জাকারিয়া আহমদসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর রেজাউল করিম বাদী হয়ে বিএনপি ও ছাত্র ইউনিয়নের ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় ছাত্র ইউনিয়নের উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক হাসনাত আহমদ শাকিলকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য আসামিদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেনকে ৯ নম্বর, জাহাঙ্গির আলম ১৪ নম্বর, নিবলু দাসকে ১৭ নম্বর এবং খালেদ মিয়াকে ২২ নম্বর আসামি করা হয়েছিল।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd