গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে অবাধে চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা!

প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৮

গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে অবাধে চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা!

আফজালুর রহমান চৌধুরী :: সিলেটের আম্বরখানা-সালুটিকর- গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ,হাদারপার সড়কে অবাধে চলছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা। রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে বাঁধা ধরা থাকলেও বিভিন্ন উপজেলা রুটে এসবের কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। পুলিশের সামনে দিয়ে এ সকল অটোরিক্সা চলাচল করলেও তারা না দেখার ভান করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশকে ম্যানেজ করেই এ সকল রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিক্সা চলাচল করছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে কথিত পুলিশ টোকেন কিংবা স্ট্যান্ড কার্ড। একই কার্ডের এপাশ ওপাশে চিহ্নকে পুঁজি করে বিভিন্ন উপজেলার সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অনুমোদিত এ সকল সিএনজি অটোরিক্সাগুলো।

অন্যদিকে, সিলেট আম্বরখানা -সালুটিকর- গোয়াইনঘাট সড়কটি যখন সংস্কারহীন,ভাঙ্গাচোরা ছিলো,গোয়াইনঘাট পৌছাতে সময় লাগতো দুই,থেকে সোয়া দুই ঘন্টা। তখন আম্বরখানা থেকে গোয়াইনঘাটের ভাড়া ছিলো ১২০ টাকা। এখন সড়কটি সম্পূর্ণ ভালো,সময় লাগে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা। কিন্তু দুর্ভোগ,সময় কমার পরও এখনো সিএনজি চালকরা সেই ১২০ টাকাই আদায় করছে। এমনকি যাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করে সিএনজি চালকরা।

তবে পুলিশ বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলছে, এ ধরণের কোনো কিছু হতে পারে না। পুলিশ অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার। বিভিন্ন সময়ে নাম্বারবিহীন গাড়ি আটক করলেও দেখা যায়, ওই গাড়ির বিপরীতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ব্যাংক চালান জমা দেওয়া আছে। তাই গাড়িগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেট-সালুটিকর- গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ,হাদারপার সড়কে আম্বরখানা শাখা নামের সিএনজি স্ট্যান্ড। এই শাখায় সিএনজির সংখ্যা ২০০টির উপরে, এর মধ্যে বেশীর ভাগ সিএনজি অটোরিক্সা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন। এমনকি এই স্ট্যান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার সিএনজিও চলে। মাসিক ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পুলিশি চাঁদার মাধ্যমে এই রোডে অবাধে চলছে এসব রেজিষ্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা। আর পুলিশের পক্ষ থেকে মাসিক চাঁদার বিপরীতে স্টিকার ও টোকেন সরবরাহ করা হয়। স্টিকার সিএনজি অটোরিক্সার গ্লাসে ও টোকেন গোপনীতার মাধ্যমে রাখা হয়। টোকেনে লেখা থাকে স্ট্যান্ডের নাম ও শাখা নাম্বার এবং টোকেনের বিপরীত সাইডে চাঁদার সংকেত চিহ্ন।

রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ও অন্যজেলার সিএনজি কিভাবে চলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ট্রাফিক (টিআই), ট্রাফিক সার্জেন্ট, এয়ারপোর্ট থানা ও আম্বরখানা ফাঁড়ী পুলিশ ও গোয়াইনঘাট থানা ও সালুটিকর পুলিশ কর্তৃক স্টিকার ও টোকেনে চলে এসব সিএনজি অটোরিক্সা। আর স্টিকার ও টোকেনের বিপরীতে প্রতি গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা নেওয়া হয়।

সংবাদটি চলমান রয়েছে——

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..