সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জে পাথর ও কয়লা পাচাঁরের সময় ২মে.টন চোরাই কয়লাসহ ১ যুবককে আটক করেছে ভারতীয় বিএসএফ। আটককৃত যুবকের নাম বাবুল মিয়া (২৫)। সে জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের মাজু মিয়ার ছেলে। আজ ১৫.১১.১৮ইং বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট সীমান্তের লাকমাছড়া নামকস্থান থেকে তাকে আটক করা হয়। এব্যাপারে বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার রাত ১১টা থেকে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে কয়লা,পাথর ও মাদক পাচাঁর শুরু করে কয়লা ও মাদক মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী,এহসান মিয়া,খোকন মিয়া,রুবেল মিয়া,রহমত আলী,মানিক মিয়া,আবুল মিয়া,ইদ্রিস আলী,আব্দুল হাকিম ভান্ডারীসহ কয়লা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী জিয়াউর রহমান জিয়াগং। এই খরব পেয়ে রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালিয়ে ২মে.টন চোরাই কয়লা আটক করে টেকেরঘাট বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার আনিসুল হক। কিন্তু টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল,চাঁন মিয়া,হাসান আলী,দূরীবিন শাহ,মংলা মিয়া,জহির মিয়া,বদিউজ্জামাল,আবুল মিয়া,ফেরদৌস মিয়াগং গত ৩দিন যাবত লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে ওপেন শতশত ট্রলি বোঝাই করে কয়লা ও পাথর পাচাঁর করলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এখবর পেয়ে আজ ১৫.১১.১৮ইং বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় টেকেরঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে পাথর ও কয়লা পাচাঁরের সময় বাবুল মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় বিএসএফ। এরপর সকাল ১০টায় পতাকা বৈঠকের মাধম্যে ওই যুবককে বিএসএফ এর কাছ থেকে ফেরত আনে বিজিবি। কিন্তু আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ ভারত থেকে পাচাঁরকৃত ১বস্তা কয়লা থেকে বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট দুই বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৩০০টাকা,১ট্রলি পাথর থেকে ৫০০টাকা,থানার নামে ১বস্তা কয়লা থেকে ৭০টাকা,১ট্রলি পাথর থেকে ১২০টাকা চাঁদা নেওয়াসহ মদ ও ইয়াবা পাচাঁরের জন্য সপ্তাহিক ২০ থেকে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী লালঘাট গ্রামের কয়লা ও মাদক মামলার আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,আব্দুল আলী ভান্ডারী,দুধেরআউটা গ্রামের কয়লা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া,লাকমা গ্রামের অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল,ইসাক মিয়া ও ইদ্রিস আলী। এসব আসামীরা বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়না। এব্যাপারে বিজিবি ও থানার সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী কালাম মিয়া বলেন,পুলিশ,বিজিবি হল থানা ও ক্যাম্পের দায়িত্বে আর আমি হলাম সীমান্তের দায়িত্বে,আমি অবৈধভাবে যা করছি সবাইকে নিয়েই করছি,তাই আমাকে কেউ কিছু বলেনা। শুধু আমি না আমার মতো সোর্স আরো আছে। এব্যাপারে টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার আনিসুল হক বলেন,চোরাই কয়লা প্রতিদিনই আটক করা হচ্ছে তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অনুরোধে পাথর নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন,সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd