সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর প্রশাসনিক এলাকা জেলা পরিষদের সামনের রাস্তার অবস্থা চরম গুরুতর। রাতদিন মাছির ভনভন কাদা ও ময়লাযুক্ত পানি। সন্ধ্যা হতেই রাস্তায় বসানো হয় দুই সারি মাছের হাট। মাছের পচা ও বরফের পানিতে তলিয়ে যায় পুরো রাস্তা। মেঘবৃষ্টি না হলেও বারমাস রাস্তা বয়ে যায় পানিতে। পথচারীর জুতোর উপরে টপকে যায় মাছের পচা পানি। তাই অনেকে এ রাস্তা দিয়ে হাটতে গিয়ে পড়েন চরম বিপাকে। ফুটপাতে জেলা পরিষদ কবর্মচারীদের বসানো কাপড়ের দোকান থাকায় ফুটপাত দিয়েও চলাচল করা যায় না। শুকনো মওসুমের রাতের বেলা পানিতে রাস্তা ভেসে সকালে শুকালেও দিনের বেলা পুরো রাস্তা দখল করে নেয় মশা ও মাছি। মাছের পানি মাছির প্রধানখাদ্য বিধায় নগরীর নর্দমার মাছিগুলো এসে স্থান নেয় জেলা পরিষদের সামনের রাস্তায়।
সিলেটে নগরীর প্রাণকেন্দ্রের এ অবস্থা দেখে ছিঃ ছিঃদেন বহিরাগতরা । নাকে রুমাল দিয়ে রাস্তার এ অংশ পার হতে হয় বিদেশী পর্যটকদের। ফলে অনেক রোগব্যধি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। জেলা পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন অজ্ঞাতকারণে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, আদালদের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্্য করে জেলা পরিষদের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকত’া কর্মচারী জেলা পরিষদের সামনের ফুটপাত একসনা নজর দিয়ে ফেলেছেন হকারদের কাছে। এ নজরানার ভাগও পেয়ে থাকে জেলা পরিষদ কর্তপক্ষ। ফলে জনচলাচলের ফুটপাতে সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী পতিবন্ধকতা।
অন্যদিকে জেলা পরিষদের সামনের রাস্তাটিতে দোকানপ্রতি দৈনিক দুইশ’ টাকা হারে চাঁদায় মাছ ব্যবসায়ীদের বসায় বন্দরবাজার ফাড়ি পুলিশ। প্রায় দুশটি মাছের দোকান বসিয়ে দৈনিক ৪০হাজার টাকা আদায় করে নেয় বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। ফাড়ি পুলিশের লাইনম্যান হয়ে জনৈক সুমন মাছ ব্যবসায়ী প্রত্যেক দোকানীর কাছ থেকে রোজানা দু’শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করে নেয়। ফাড়ি পুলিশের পক্ষে আদায়কৃত এ টাকার ভাগ এসএমপির পদস্থ কর্মকর্তাদেরও দেয়া হয় বলে একটি সূত্রে প্রকাশ।
জন-চলাচলের রাস্তা ও প্রশাসনিক এলাকায় মাছের হাট ও মাছের পচা পানিতে রাস্তার পরিবেশ পুতিগন্ধময় হয়ে পড়েছে। সিলেটে সিটি কুর্তপক্ষ-সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বারবার নজরে দেয়া সত্বেও রাস্তার উপর থেকে মাছের হাট না সরানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ও নান্দনিরক পরিবেশ চরমভাবে দুষিত হচ্ছে। এব্যাপারে ভোক্তভোগীরা সরকার ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের আশু পদক্ষেপ ও দ্রæততর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd