নগরীর চালি বন্দরে থামছে না শিলং তীর খেলা নিঃস্ব হচ্ছে যুবসমাজ

প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০১৮

নগরীর চালি বন্দরে থামছে না শিলং তীর খেলা নিঃস্ব হচ্ছে যুবসমাজ

Manual2 Ad Code

তাজুল ইসলাম :: যুবসমাজ দেশের সম্পদ। যুবসমাজ ছাড়া দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এজন্য যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে মানব সম্পদে পরিণত করা সকলের উচিত।

Manual3 Ad Code

সিলেট নগরীর চালি বন্দর এলাকায় কিছুতেই থামছে না ইন্টারনেট ভিত্তিক ভারতীয় শিলং তীর নামক জুয়া খেলা। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে এক দু’জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠালেও তারা জামিনে বের হয়ে আবার এ খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এমন কি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কিছু দিন আগে উচ্ছেদ করেন। এর পর দিন থেকে জুয়াড়ীরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জুয়াড়ীরা হচ্ছে সাইফুল ,মিজান,নাসিম,নজরুল(কমিল্লার নজরুল) তারাই হচ্ছে বোর্ডের মালিক।

Manual2 Ad Code

অভিযোগ উঠেছে কিছু নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁিড়র কিছু অসৎ পুলিশ এসব জুয়াড়িদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়াই এই শিলং নামে জুয়া খেলা কিছুতেই থামছে না। যার ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে তীর খেলা বন্ধে অভিযান চললেও কোনো সুফল মিলছে না। সামপ্রতিক সময়ে চালি বন্দর এলাকায় শিলং তীরের উৎপাত দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চালি বন্দরে প্রকাশ্যেই চলছে শিলং তীর খেলার টোকেন বিক্রি। নারী-পুরুষ দল বেঁধে এই তীর নামক জুয়া খেলায় লাভের আসায় প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে। লাভতো দূরের কথা প্রতিনিয়ত এসব খেলে অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছে।

Manual1 Ad Code

নগরীর সুরমা মার্কেটের বড় এজেন্টের মাধ্যমে চালি বন্দরের এজেন্টদের সঙ্গে জুয়ার আসরের সমন্বয় করে থাকে। আর ভারতীয় এ ভাগ্যেও খেলায় স্কুল-কলেজের ছাত্র, দিনমজুর, রিকশাচালক, যানবাহন চালক-শ্রমিকসহ বেকার যুবকরা বেশি অংশ নিচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে ৩০ বছর আগে ভারতীয় ধনকুবেররা এ রকম খেলাটি আবিষ্কার করেছিল। এর নাম রাখে মেঘালয়ের আঞ্চলিক ভাষায় ‘তীর খেলা’। এই শিলং তীর খেলাটির নিয়ম হচ্ছে এদেশের এজেন্টদের মাধ্যমে ০-৯৯ পর্যন্ত নম্বর বিক্রয় করা হয় ১০ টাকা থেকে শুরু করে যেকোনো মূল্যে। লটারিতে ০ থেকে ৯৯ পর্যন্ত কোনো সংখ্যা কিনে নেওয়া যায়। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাজি ধরা হয়। যত মূল্যে সংখ্যাটি বিক্রয় করা হয় তার ৭০ গুণ লাভ দেয়া হয় বিজয়ী নম্বরকে। অর্থাৎ, ১০ টাকায় ৭০০ টাকা। একই নম্বর এশাধিক লোকও কিনতে পারেন। সবাই কেনা দামের চেয়ে ৭০ গুণ বেশি টাকা পাওয়ার লোভে এই শিলং নামে জুয়ায় বাজি ধরছেন। প্রতিদিন বিকাল সোয়া ৪টায় ও সাড়ে ৫টায় ও রাত সাড়ে ১০টায় এ লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

খেলার ফলাফল দেওয়া হয় অনলাইনে। ভারতের শিলং থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জুয়ার আসরটি পরিচালনা করা হয়। আর এ ওয়েব সাইটের মাধ্যমে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনেও ফলাফল জানা যাচ্ছে। আর এসব জুয়ার নেতৃত্বে রয়েছে এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এনড্রয়েড ফেন সেটের মাধ্যমে নম্বর বইয়ের মালিকরা দোখান ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে নম্বর টোকেন বিক্রি করেন। এই খেলাটি চির স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..