সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েছের উপর সমন জারি করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ, আদালত সিলেট ২২ অক্টোবর সমন জারি করেন। এ সমনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় আদালতে নিজ হাজির বা নিযুক্তিয় আইনজীবির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগের ব্যাপারে কোন আপত্তি থাকলে তা দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েছের বিরুদ্ধে ফেঞ্চুগঞ্জ সি.আর মামলা নং ৮১/১৮ইং ধারা ৫০০/৫০৬ (২) দ:বি: ধারায় বিগত ০৩.১০.১৮ইং তারিখের আদেশের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রোট ৫ম আদালত, সিলেট এর আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়। পরে ফৌজদারী রিভিশন মামলা নং ২৪৩ / ২০১৮ইং দায়ের করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশফাকুল ইসলাম সাব্বিরের মা মনোয়ারা বেগম। দায়েরকৃত ফৌজদারী রিভিশন মামলার অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি থাকলে বিবাদী স্বয়ং বা নিযুক্তিয় আইনজীবির মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত হয়ে আপত্তি দর্শানোর জন্যই মুলত এ সমন প্রদান করেছেন আদালত।
প্রসংগত: হত্যা হুমকি, মানহানী ঘটনার বিচারে চেয়ে সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েছের বিরুদ্ধে গত ৩ অক্টোবর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-৫ আদালতের অভিযোগ দায়ের করেন সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বৃদ্ধা মা মনোয়ারা বেগম। অভিযোগে বলা হয়, বিবাদী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী সিলেটে ৩ আসনের এমপি হওয়ার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার মাধ্যমে নিরীহ সাধারন মানুষকে অত্যাচার, নির্যাতন জুলুম করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না। আসামীর পিতা মরহুম দেলওয়ার হোসেন পিরু মিয়া ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শান্তি কমিটির আহবায়ক ছিলেন। সেই কারনে বাদীনীর পরিবারের প্রতি দীর্র্ঘদিনের আক্রোশ আসামী মাহমুদ-উস সামাদ-চৌধুরী এমপি’র।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর ১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় পিটাইটিকর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ তলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে বাদীনীর প্রবাসী পূত্র আশফাকুল ইসলাম সাব্বিরকে নাস্তিক, হিজড়া, বাংলা ভাইয়ের সহযোগী এমনকি কুখ্যাত মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিমের সাথে তুলনা করে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করে তাকে সম্মুখে আসার আহবান করেন।
বক্তব্যে বাদীনীর ছেলেকে ধরার দৌড়ানোর, এমনকি পিটের ছাল তুলে নেওয়ার জন্য জনসম্মুখে উসকানী দেন। আসামী তার বক্তব্যে নিজকে খুনিদের রক্ষক ও নিজকে আতœস্বীকৃত খুনি হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিবাদী। এমনকি বক্তব্যে আসামী বলেন, ডান্ডা বেরী পরে আছে তিনি, যেদিন ডান্ডা বেরী থাকবে না সেদিন সবকিছু চুরমার করে দিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জে অবস্থান করবেন তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd