বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভঙ্গ হলো একটি বাল্যবিয়ে। ছেলে-মেয়েকে বাল্য বিয়ে দিবেন না বলে উপজেলা প্রশাসনে লিখিত অঙ্গিকারনামা দিয়েছেন বর-কনের পিতা। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে এ অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর করেন বর-কনের পরিবার। আগামীকাল বুধবার উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এমন খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বিয়ে ভঙ্গ করার নির্দেশ দিয়ে আসে। পরে রাতে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে বর-কণের জন্মনিন্ধন কার্ড অনুযায়ী বরে বয়ষ কম হওয়ায় এটি বাল্যবিয়ে আওতায় পড়ে তাই বিয়ে ভঙ্গ করার আহবান জানান ইউএনও। এতে বর-কণের পরিবার বিয়ে ভঙ্গ করার অঙ্গিকার করেন।
এদিকে, গত ২০১৬ সালে আগষ্ট মাসে বিশ্বনাথ উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হয়। উপজেলাকে বাল্যবিয়ে ঘোষণার পরও বাল্যবিয়ের আয়োজন নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচন শুরু হয়। টনক নড়ে প্রশাসনের। ফলে বাল্যবিবাহ ভঙ্গ করতে বাধ্য হন বর-কনের পরিবার।
জানা গেছে, উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের রায়কেলী গ্রামের সুন্দর আলীর অবয়ষ্ক প্রাপ্ত ছেলে ফয়ছল মিয়ার সঙ্গে একই উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আজির মিয়ার মেয়ে সাবিনা বেগমের সঙ্গে আজ বুধবার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। বিয়েতে আমন্ত্রন জানানো হয় উভয় পরিবারের আত্বীয়-স্বজনকে।
বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে জানতে পারেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর বিয়ে ভঙ্গে উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এরপর দুপুরে থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল আকন্দ উভয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ের আয়োজন বন্ধ জন্য বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, বাল্য বিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। বর-কনের পক্ষের লোকজন বাল্যবিবাহ না দেয়ার জন্য অঙ্গিকার নামা করেছেন। উপজেলায় কোনো অবস্থাতে বাল্য বিবাহ হতে দেয়া হবেনা বলে তিনি জানান। মেয়ের বয়স সঠিক থাকলেও বরের বয়স ছিল কম।
Sharing is caring!