ভয়াল স্মৃতিবিজড়িত ২৯ এপ্রিল আজ

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০১৮


Manual7 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রলয়-ভয়াল স্মৃতিবিজড়িত ২৯ এপ্রিল আজ। চট্টগ্রামের উপকুলজুড়ে স্বজন হারানো হাজার হাজার মানুষের শোক ও কান্নার দিন। ১৯৯১ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়। সরকারি হিসেবে প্রাণহানির সংখ্যা এক লাখ ৩৮ হাজার বলা হলেও বাস্তবে সে সংখ্যা ছিল দুই লাখেরও বেশি।

Manual8 Ad Code

চট্টগ্রামের উপকুলীয় এলাকার ওপর দিয়ে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া সেদিনের ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা। এই উপজেলায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে বিলীন হয়ে যায় উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। এরপর দুই যুগেরও বেশি পেরিয়ে গেলেও সে বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মিত হয়নি। এবার দীর্ঘ ২৭ বছর পর আনোয়ারা উপকূলজুড়ে এখন সেই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে।

Manual3 Ad Code

আনোয়ারা উপজেলার জুইদন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল রহমান চৌধুরী জানান, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে এই ইউনিয়নে এক হাজার চারশত মানুষ প্রাণ হারায়। নিহত বেশিরভাগ মানুষের লাশ পাওয়া গেলেও সাগরে ভেসে গেছেন অনেকে। ঘূর্ণিঝড়ের ২৭ বছর পরও এখনো অরক্ষিত ৬০ হাজার লোকসংখ্যা অধ্যুষিত জুইদন্ডি ইউনিয়ন। ইউনিয়নে মাত্র ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও একটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এতে যেকোন দুর্যোগে মাত্র ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। ইউনিয়নের অবশিষ্ট অর্ধ লক্ষ মানুষের জন্য কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই।

Manual8 Ad Code

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে আনোয়ারার সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে রায়পুর ইউনিয়নে। ভয়াল ওই রাতে জুইদন্ডি ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী রায়পুর ইউনিয়নে মারা গেছে তিন হাজার ৩৮৫ জন মানুষ। এখন সমগ্র আনোয়ারা উপজেলার সুরক্ষায় যে বেড়িবাঁধ নির্মিত হচ্ছে তা সফল হলে দুর্যোগে আনোয়ারা উপজেলা বড় জলোচ্ছাস থেকে রক্ষা পাবে বলে ধারণা এলাকাবাসীর ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..